রাহুল গান্ধীর পার্লামেন্টে ফেরার সম্ভাবনা আরও কমল

একটি মানহানি মামলায় ভারতের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীর আপিল বাতিল করে দিয়েছেন গুজরাটের হাইকোর্ট। ফলে তার পার্লামেন্টে ফেরার পথ আপাতত বন্ধই থাকল। তা ছাড়া আগামী বছর অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনেও তিনি অংশ নিতে পারবেন কি না, তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

একটি মানহানি মামলায় গত মার্চে গুজরাটের একটি আদালত রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর সংবিধান অনুযায়ী তার সংসদ সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়।

পরবর্তী সময়ে কারাদণ্ডের সাজা স্থগিত করা হলেও রাহুল এখনও সংসদ সদস্য পদ ফেরত পাননি।

শুক্রবার (৭ জুলাই) গুজরাটের হাইকোর্টে রাহুল ফের আপিল করেন। কিন্তু বিচারকরা তা বাতিল করে দেন।

এখন তিনি গুজরাট হাইকোর্টের আরেকটি বড় বেঞ্চে আবার আবেদন করতে পারবেন। তাও বাতিল হয়ে গেলে তিনি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন।

সুপ্রিম কোর্টও নিম্ন আদালতের সাজা বহাল রাখলে আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেসের এই প্রভাবশালী নেতা অংশ নিতে পারবেন না।

জানা যায়, ২০১৯ সালে এক বক্তৃতায় রাহুল মন্তব্য করেন, মোদি নামের সব ব্যক্তি চোর হয় কেন?

বক্তৃতায় রাহুল সুনির্দিষ্ট না করে সাবেক এক হীরা ব্যবসায়ী, ভারতের প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এক কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত দেন। এ তিন ব্যক্তির সবার নামের শেষে মোদি আছে।

বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী সময়ে গুজরাটের এক বিধায়ক একটি মানহানি মামলা করেন। ওই বিধায়কের নামের শেষেও মোদি রয়েছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গুজরাটের যে বিধায়ক মামলা করেছেন, সেখানে রাহুল যাদের প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন তাদের অপমান করার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

সূত্র : আলজাজিরা