প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৩ ২২:২৮ পিএম
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৩ ১২:২৫ পিএম
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংকটে বিশ্বের রুটির ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত একাধিক এলাকায় ফসলের বিপর্যয় ঘটতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা গত মঙ্গলবার বলেছেন, তাদের এ প্রতিবেদন ‘জাগরণের ডাক’ হওয়া উচিত।
নেচার কমিউনিকেশনে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির বিজ্ঞানীরা বেশ কয়েকটি প্রধান খাদ্য উৎপাদনকারী অঞ্চলের ফলন নিয়ে গবেষণা করেন।
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং জার্মান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনের একজন গবেষক ও গবেষণার প্রধান লেখক কাই কর্নহুবার বলেছেন, ফসল বিপর্যয়ের এসব ঘটনা খাবারের মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এমনকি নাগরিক অস্থিরতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করার মাধ্যমে আমরা এই ঘোলা পানিতে প্রবেশ করেছি, যেখানে আমরা কোনো ধরনের চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি, সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতেই সংগ্রাম করছি।’
গবেষণায় ১৯৬০ ও ২০১৪-এর মধ্যে পর্যবেক্ষণমূলক এবং জলবায়ুসংক্রান্ত তথ্য এবং ২০৪৫ থেকে ২০৯৯-এর পূর্বাভাসগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে।
একযোগে ফসলের ব্যর্থতা
গবেষকরা প্রথমে জেট স্ট্রিমের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন। জেট স্ট্রিম হলো বায়ু স্রোত, যা বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শস্য উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোর আবহাওয়ার ধরনগুলোকে প্রভাবিত করে। গবেষকরা জেট স্ট্রিমের এলোমেলো প্রবাহ শনাক্ত করেছেন, যা উত্তর আমেরিকা, পূর্ব ইউরোপ এবং পূর্ব এশিয়ার প্রধান কৃষি অঞ্চলগুলোতে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। এ কারণে ফসলের পরিমাণ ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। গবেষকরা আরও দেখেছেন যে এই ঘটনা অতীতেও ফসলের বিপর্যয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল। একটি উদাহরণ ছিল ২০১০ সালে, যখন জেট স্ট্রিমের ওঠানামা রাশিয়ার কিছু অংশে চরম তাপ এবং পাকিস্তানে বিধ্বংসী বন্যা উভয় ঘটনারই কারণ ছিল। যা ফসলের ফলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। সূত্র : আলজাজিরা