প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৩ ১৯:১৮ পিএম
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৩ ১৯:৩৪ পিএম
ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদের গ্রুপ ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বেলারুশ নয়, রাশিয়ায় আছেন বলে দাবি করেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।
মস্কোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পর থেকে প্রিগোজিনের অবস্থান নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।
একটি চুক্তির অধীনে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ তুলে তাকে বেলারুশে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
তবে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বেলারুশ নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, ‘প্রিগোজিন সেন্ট পিটার্সবার্গে আছেন। তিনি বেলারুশের ভূখণ্ডে নেই।’
লুকাশেঙ্কোর ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিন বলেছে, তারা প্রিগোজিনের গতিবিধি অনুসরণ করছে না।
লুকাশেঙ্কো ওয়াগনারের বিদ্রোহের অবসান ঘটাতে চুক্তি করতে সহায়তা করেছিলেন এবং মাত্র এক সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, ‘প্রিগোজিন বেলারুশে এসেছেন।’
বিবিসি জুনের শেষের দিকে বেলারুশের উদ্দেশে প্রিগোজিনের প্রাইভেট জেট ট্র্যাক করে। ওই জেট ওই সন্ধ্যায়ই রাশিয়ায় ফিরে আসে।
বিবিসিও ওয়াগনার নেতার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে লুকাশেঙ্কোর দাবি যাচাই করতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার লুকাশেঙ্কো আরও বলেছেন, ‘আমি যতদূর জানি বাকি ওয়াগনার যোদ্ধারা এখনও তাদের ঘাঁটিতে রয়েছে।’
বেলারুশ নেতা বলেছেন, ‘ওয়াগনারকে বেলারুশে তার কিছু যোদ্ধা পাঠানোর প্রস্তাব প্রতিবেশী ন্যাটো দেশগুলোকে শঙ্কিত করেছে। কিন্তু ওয়াগনারের একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আছে। অবশ্যই আমি আপনাকে সে সম্পর্কে বলব না। শুধু বলব, বর্তমানে তাদের স্থানান্তরের সমস্যার সমাধান হয়নি।’
ভাষণে লুকাশেঙ্কো বলেন, তিনি বেলারুশে ওয়াগনার যোদ্ধা থাকার বিষয়ে উদ্বিগ্ন নন। তারা ‘কিছু শর্তে’ বেলারুশে থাকবেন।
লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘সেক্ষেত্রে প্রধান শর্ত হলো, যদি আমাদের দেশের প্রতিরক্ষার জন্য কখনও তাদের প্রয়োজন হয়, তবে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে যোগদান করতে হবে।’
ওয়াগনারের ‘অভিজ্ঞতার’ প্রশংসাও করেছেন লুকাশেঙ্কো।
তবে বেলারুশে ওয়াগনার নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের যেকোনো সম্ভাব্য হুমকি খারিজ করেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘জীবনে সব ধরনের ঘটনাই ঘটে। কিন্তু আমি আপাতত সেই পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি না। যদি তারা এখানে আসে, তবে আমরা তাদের প্রতি গভীর মনোযোগ দেব।’
লুকাশেঙ্কো ১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশ শাসন করছেন এবং ক্ষমতা ধরে রাখতে ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপি করেছেন বলে ব্যাপকভাবে অভিযোগ করা হয়।
সূত্র : বিবিসি