পঞ্চায়েত নির্বাচন
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৩ ১৫:১০ পিএম
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৩ ১৬:০৪ পিএম
হত্যার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন-সম্পর্কিত সহিংসতায় গত ৯ ঘণ্টার মধ্যে দুই জেলায় আরও দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-সম্পর্কিত সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ১৭ জনে পৌঁছাল।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ছবি নাহারার স্বামী দিলীপ নাহারার লাশ বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকালে বীরভূম জেলার মোহাম্মদ বাজারের সেরেন্দা এলাকায় একটি পুকুরের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
ছবি নাহারা দাবি করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তার স্বামী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।
তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক কালী প্রসাদ বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদেরও দিলীপ হত্যার জন্য দায়ী করেছেন।
কালী প্রসাদ বন্দোপাধ্যায় অবশ্য অভিযোগগুলো অস্বীকার করে বলেছেন, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ওই দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর জন্য শাসক দলকে অকারণে ফাঁসানোর করার চেষ্টা করছে।
এদিকে বুধবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গায় বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
নিহত যুবকের নাম কামাল শেখ। ৩০ বছর বয়সি কামাল বেলডাঙ্গা থানার অন্তর্গত মহেশপুর এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তার দেহের কাছ থেকে অশোধিত বোমা তৈরির উপাদানগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মহেশপুর থেকে কামালের মরদেহ উদ্ধার হয়। মরদেহের পাশেই পড়ে ছিল বোমার মসলা। যে করণে ধারণা করা হচ্ছে, বোমা বানাতে গিয়েই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে তার।
নিহত কামালের ভাইয়ের বক্তব্য, ‘ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ভাই মাঠে পড়ে আছে। খুন করা হয়েছে আমার ভাইকে। দেখে মনে হচ্ছে বোমা মেরেছে। তাই মৃত্যু হয়েছে।’
পুলিশ সূত্রে খবর, কামাল শেখের মরদেহ ঘিরে বোমা তৈরির মসলা পড়েছিল। বোমা তৈরি করে তা সরবরাহ করত কামাল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বোমা তৈরি করছিল সে। ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছে, কামাল শেখ একজন নিবেদিত কংগ্রেসকর্মী ছিলেন।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক মনোজ মালভিয়া সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সহিংসতার ঘটনা কমে এসেছে। মিডিয়া ছোটখাটো ঘটনাকে বড় ঘটনা হিসেবে তুলে ধরছে।’
গত ২৪ জুনও বোমা বানাতে গিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল।
অন্যদিকে জঙ্গিপুরের সাদিকপুরে এক সিপিএম প্রার্থীকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতিরা। তার ছেলে মকবুল শেখকে দুষ্কৃতিরা তুলে নিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
সূত্র : সাক্ষীপোস্ট