প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩ ১৪:৫৩ পিএম
রাশিয়া অধিকৃত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁকে বলেছেন, ‘রাশিয়া অধিকৃত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিপজ্জনক নাশকতার পরিকল্পনা করছে মস্কো।’
ইউরোপের বৃহত্তম এই প্ল্যান্টে একটি নাশকতার প্রস্তুতির ব্যাপারে কিয়েভ এবং মস্কো একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পরে ভলোদিমির জেলেনস্কি এ কথা বলেন।
রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ওই পারমাণবিক প্ল্যান্টের নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে আশঙ্কা অব্যাহত রয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন,‘আমি ইমানুয়েল মাখোঁকে সতর্ক করে জানিয়েছি যে, দখলদার সেনারা জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্টে বিপজ্জনক উস্কানির প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
জেলেনস্কি তার ফরাসি প্রতিপক্ষের সঙ্গে একটি ফোন কলের পরে এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে পরিস্থিতি সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্মত হয়েছি।’
জেলেনস্কি মঙ্গলবারের সন্ধ্যার ভাষণে বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয় গোয়েন্দাদের তথ্যমতে, রাশিয়া প্লান্টে বিস্ফোরকের মতো বস্তু স্থাপন করেছে মস্কো।’
তিনি বলেন, ‘সম্ভবত প্লান্টে একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে, হয়তো তাদের অন্য কোনো পরিকল্পনা আছে। কিন্তু যাই ঘটুক, বিশ্ব তা দেখছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘বিকিরণ বিশ্বের সকলের জন্যই হুমকি।’
এর আগে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বিস্ফোরক স্থাপন সম্পর্কে সতর্ক করে জানায়, ‘সাইটে তৃতীয় এবং চতুর্থ চুল্লির বাইরের ছাদে বিস্ফোরক ডিভাইসের মতো বস্তু স্থাপন করা হয়েছে।’
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তাদের বিস্ফোরণে বিদ্যুতের ইউনিটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, তবে ইউক্রেনের দিক থেকে গোলা নিক্ষেপের একটি অভিযোগ আসতে পারে। মস্কো ‘এটি সম্পর্কে ভুল তথ্য দেবে।’
এদিকে, রাশিয়ার রোসাটম পারমাণবিক সংস্থার উপদেষ্টা রেনাত কারচা কিয়েভকে প্লান্টে হামলার পরিকল্পনা করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
কারচা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘আজ আমরা এমন তথ্য পেয়েছি যে, আমি দায়িত্ব নিয়ে ঘোষণা দিতে পারি ৫ জুলাই আক্ষরিক অর্থে রাতের অন্ধকারে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আক্রমণ করার চেষ্টা করবে।’
তিনি দাবি করেছেন, ‘ইউক্রেন ড্রোনের পাশাপাশি উচ্চ প্রযুক্তির-নির্ভুল, দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেন নিয়মিতভাবে একে অপরকে প্লান্টের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ করেছে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল