× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ঔপনিবেশিক যুগের দাসপ্রথার জন্য ক্ষমা চাইলেন ডাচ রাজা

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৩ ১৩:২৬ পিএম

আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৩ ১৩:৩৬ পিএম

ডাচ রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার। ছবি : সংগৃহীত

ডাচ রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার। ছবি : সংগৃহীত

দাসপ্রথায় নেদারল্যান্ডসের জড়িত থাকার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন ডাচ রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার।

তিনি বলেছেন, ওই ঘটনায় তিনি ‘ব্যক্তিগতভাবে এবং তীব্রভাবে’ প্রভাবিত হয়েছেন।

ডাচ রাজা শনিবার (১ জুলাই) ক্যারিবীয় অঞ্চলের সাবেক উপনিবেশগুলোসহ নেদারল্যান্ডসের দাসপ্রথার আইনী বিলোপের ১৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে ক্ষমা চান বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আপনার রাজা এবং সরকারের অংশ হিসাবে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আজ আমি নিজেই ক্ষমা চাইছি। এই দিনে আমরা দাসত্বের ডাচ ইতিহাস স্মরণ করছি এবং মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

তিনি বলেন, ‘ডাচ সমাজে বর্ণবাদ একটি সমস্যা হিসাবে রয়ে গেছে। তাই সবাই তার ওই ক্ষমা প্রার্থনাকে সমর্থন করবে না।’

১৬ এবং ১৭ শতকে ডাচরা তাদের সাম্রাজ্য এবং সংস্কৃতির তথাকথিত স্বর্ণযুগকে দাস ব্যবসার অংশ হিসাবে প্রায় ৬ লাখ আফ্রিকানকে দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ানে বিক্রি করেছিল।

গত ডিসেম্বরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে ওই ঘটনার জন্য ডাচ রাষ্ট্রের পক্ষে ক্ষমা চেয়েছিলেন।

ক্রীতদাসদের বংশধররা ডাচ রাজাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আমস্টারডামের ওস্টারপার্কে শনিবারের অনুষ্ঠানকে ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছিল।

জাতীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত বক্তৃতায় উইলেম-আলেকজান্ডার ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘অতীত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কিছুই করা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দাসত্বের শৃঙ্খল সত্যিই ভেঙে গেছে।

এ সময় দাসত্বের জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শকের উল্লাস প্রকাশ করে করতালি দেন।

১৮৬৩ সালের ১ জুলাই সুরিনাম এবং অন্যান্য ডাচ-অধিকৃত ভূমিতে দাসপ্রথা আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত করা হয়েছিল।

জুন মাসে প্রকাশিত একটি ডাচ সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাজপরিবার ১৬৭৫ থেকে ১৭৭০ সালের মধ্যে উপনিবেশগুলো থেকে দাসপ্রথার মাধ্যমে আজকের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৫৪৫ মিলিয়ন ইউরো উপার্জন করেছিল।

বর্তমান রাজার দূরবর্তী পূর্বপুরুষ, উইলেম তৃতীয়, উইলেম চতুর্থ এবং উইলেম পঞ্চম দাসপ্রথায় ডাচ রাষ্ট্রের ‘ইচ্ছাকৃত, কাঠামোগতনীতি তৈরী করেছিলেন এবং এই অপরাধে ‘দীর্ঘমেয়াদে জড়িত’ ছিলেন।

এই দাসবাণিজ্যে ভর করেই ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হয় নেদারল্যান্ডস।

যুক্তরাষ্ট্রে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের আবির্ভাব হওয়ার পর থেকে নেদারল্যান্ডস তার ঔপনিবেশিক এবং দাসবাণিজ্যের অতীত সম্পর্কে প্রায়ই কঠিন বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছে।

সুত্র : আলজাজিরা

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা