প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৩ ১৬:৪৭ পিএম
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৩ ১৭:১৯ পিএম
মিনুসমা মিশনে নাইজেরীয় কন্টিনজেন্টের সেনা। ছবি : জাতিসংঘ
মালিতে এক দশকের পুরোনো শান্তিরক্ষা মিশন ‘মিনুসমা’-এর সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ।
দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনীর দাবির মুখেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে অনেকটা বাধ্যই হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
শুক্রবার (৩০ জুন)
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্য মিলিয়ে মোট ১৫ সদস্যের কাউন্সিল ফ্রান্সের আনা মিশন প্রত্যাহার সংক্রান্ত প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এর আলোকে
মালির সামরিক বাহিনীর কাছে কাজ হস্তান্তর এবং
শান্তিরক্ষী সদস্যদের সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ প্রত্যাহারের জন্য সবশেষ সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর।
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর জেফরি ডি লরেন্টিস মালির সামরিক সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। যদিও এ সিদ্ধান্তে মালি সরকারকে
সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
২০২১ সালের পর থেকে মালির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে রুশ ভাড়াটে যোদ্ধাদের গ্রুপ ওয়াগনারের সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে নিযুক্ত আন্তর্জাতিক বাহিনীর বিমান ও স্থল অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রও এই শান্তিরক্ষী প্রত্যাহারের ঘটনার সঙ্গে ওয়াগনারের
যোগসাজশ দেখছে। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, মালি সরকার ওয়াগনারকে এখন পর্যন্ত ২০
কোটি ডলার দিয়েছে।
গত মাসে সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলায়ে দিওপ আহ্বান জানান,
দেরি না করে সশস্ত্র বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াইরত আন্তর্জাতিক বাহিনী
(শান্তিরক্ষী বাহিনী) যেন প্রত্যাহার করা হয়।
কারণ হিসেবে দেশটির সরকার বলেছিল,
শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনে দেশটিতে শান্তি তো আসেইনি,
উলটো অশান্তি বেড়েছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির জন্যও দায় আছে শান্তিরক্ষী বাহিনীর।
যদিও দেশটিতে ২০২০ ও ২০২১ সালে দুই দফা সশস্ত্র বিদ্রোহের সময় শান্তিরক্ষী বাহিনী হাজার হাজার বেসামরিক লোককে রক্ষা করেছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে,
মালিতে ‘ব্লু হেলমেট’
ধারীর বর্তমান সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৩০ জন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩৮৪ জন বেসামরিক কর্মী,
১ হাজার ৬০১ জন পুলিশ,
৫০৪ জন স্টাফ কর্মকর্তা পি ১১ হাজার ৭৩৯ জন সেনাসদস্য,
জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন ২০২ জন।
মালিতে জাতিসংঘের আওতায় সেনাপ্রেরণকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান চাদের পরেই। মিনুসমা মিশনে বাংলাদেশের সেনাসদস্য রয়েছেন ১ হাজার ৩৯৬ জন।
দেশটিতে বাংলাদেশের ২৮৩ জন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। পুলিশ সদস্যদের সংখ্যায় সেনেগাল ও টোগোর পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।