প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৩ ১৪:৪৭ পিএম
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৩ ১৪:৫৫ পিএম
বিলটি রাজার অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রিপ্টোমার্কেটে এর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। ছবি : সংগৃহীত
বিটকয়েন, ইথারিয়ামের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আর্থিক পরিষেবা ও বাজার
আইন ২০২৩-এর অধীনে একটি নিয়ন্ত্রিত আর্থিক খাত হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের
পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তির দেশ যুক্তরাজ্য। ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগকারীদের জন্য
এটি বেশ বড় খবর।
এ সংক্রান্ত বিলটি আগেই পার্লামেন্টে পাস হলেও শুক্রবার (৩০ জুন)
রাজা চার্লস থেকে অনুমোদন পেয়েছে এবং এতে রাজকীয় সম্মতির সিল দেওয়া হয়েছে।
বিলটি রাজার অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রিপ্টোমার্কেটে এর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। কয়েন মার্কেট ক্যাপের তথ্যমতে শুক্রবার বিটকয়েনের দাম ৩১ হাজার ডলার
ছাড়িয়ে যায়, একই দিন ক্রিপ্টোকারেন্সির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইথারিয়ামের দামও
১ হাজার ৯০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এগুলো ছাড়াও তালিকার শীর্ষে থাকা কয়েন ও টোকেনের দামও
নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।
যুক্তরাজ্যে পাস হওয়া নতুন এই বিলে ক্রিপ্টো-সংক্রান্ত বিষদ নীতিমালা
যুক্ত করা হয়েছে। আর্থিক ঝুঁকির বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষিত রাখতে এই আইনের অধীনে
অনুমোদিত পুশ পেমেন্ট স্ক্যামের শিকারদের জন্য সুরক্ষা পরিকল্পনাও রাখা হবে। এ ছাড়া
স্ক্যাম থেকে ক্রিপ্টো বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় দিক নির্দেশনাও রয়েছে সেখানে।
এখন থেকে যুক্তরাজ্যে কোনো ব্যাংক যদি ক্রিপ্টো-নির্ভর সেবা প্রদান
করে বা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রিপ্টো কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চায়, তাকে
বা তাদের অবশ্যই আর্থিক পরিষেবা ও বাজার আইন ২০২৩-এর অধীনে করতে হবে।
হংকং, নাইজেরিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিপ্টোকারেন্সি হাব হিসেবে
নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। বিশেষ করে হংকংয়ের আর্থিক খাতের সরকারি কর্তৃপক্ষ তো
দেশটির ব্যাংকগুলোর কাছে জানতে চাইছে, কেন তারা ক্রিপ্টোকেন্দ্রিক সেবা দিচ্ছে না।
এইচএসবিসির (হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন) হংকং শাখা এরই মধ্যে ক্রিপ্টো সেবা চালু
করেছে। আপাতত তাদের প্ল্যাটফর্মে বিটকয়েন ও ইথারিয়াম কেনাবেচা করা যাচ্ছে। একই পথে
হাঁটার কথা রয়েছে হংকংকেন্দ্রিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক।
নতুন আইন পর্যবেক্ষণের আলোকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, হংকংয়ের
মতো যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যও এমনই। বিশেষ করে ব্রেক্সিটের পর দেশটির অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা
দেখা গেছে, তা কাটিয়ে উঠতে ক্রিপ্টোর মতো ফিনটেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছে
যুক্তরাজ্য সরকার।
এর আগে গত বছর ব্রিটিশ সরকার লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে স্টেবল কয়েনকে
বৈধ ঘোষণা করে। সেখানকার বেশ কয়েকটি আর্থিক সেবা খাত সরকারি বিধি মেনেই ইউএসডিটির মতো
স্ট্যাবল কয়েন লেনদেন করছে।
এ ছাড়া ব্লক রিসার্চের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, যুক্তরাজ্যে ২০২২
সালের হিসেবে ক্রিপ্টো-সংক্রান্ত কর্মসংস্থান ৮২ হাজার ২০০-এরও বেশি গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
অথচ ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল মাত্র ১৮ হাজার ২০০।
সূত্র : গ্যাজেটস ৩৬০