সহিংসতা মোকাবিলায় ব্যর্থ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৩ ১৪:৩৩ পিএম
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৩ ১৪:৩৬ পিএম
পাকিস্তানে ৯ মে’র সহিংসতার চিত্র (ফাইল ফটো)। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানে গত ৯ মে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের সহিংসতা মোকাবিলায় নীরব ভূমিকা পালনের দায়ে এক লেফটেন্যান্ট জেনারেলসহ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তিন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীরর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আরশাদ শরিফ সোমবার (২৬ জুন) বলেন, ‘হামলার দুটি ঘটনার তদন্তের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। অভিযুক্তরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেয়েছেন।’
তিনি জানান, ‘বরখাস্ত অন্য দুই সেনা কর্মকর্তার মধ্যে একজন মেজর জেনারেল এবং অপরজন ব্রিগেডিয়ার পদমর্যদার।’
গত ৯ এবং ১০ মে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকরা সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর, আবাসন এবং অন্যান্য সম্পত্তিতে হামলা চালায়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘উত্তেজিত সমর্থকদের সহায়তা করা এবং সহিংসতা রুখতে ব্যর্থতার অভিযোগেই ওই ৩ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান রেঞ্জার্স।
ইমরানের গ্রেফতারের পর পুরো পাকিস্তানে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ইমরানের মুক্তির দাবিতে নানান জায়গায় বিক্ষোভ দেখান তার দলের সমর্থকরা। দেশের নানা প্রান্তে তাণ্ডব এবং ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গেও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তারা।
রাওয়ালপিন্ডির পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর, লাহোরের কোর কমান্ডারের বাড়ি, করাচি ও পেশোয়ারের সেনা ছাউনি, মিয়াওয়ালির বিমানঘাঁটি এবং ফয়সলাবাদের আইএসআই ভবনেও হামলা চালায় ইমরানের উত্তেজিত সমর্থকরা।
এমনকি, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শহিদ স্মৃতিসৌধ ভাঙচুর করেন তারা।
ওই হামলা প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির বলেছিলেন, ‘এটি পুরোপুরি পরিকল্পিত একটি ঘটনা। এই হামলার পরিকল্পনাকারী, অংশগ্রহণকারী এবং সহায়তাকারীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে