প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৩ ০৯:৪৬ এএম
আপডেট : ২৩ জুন ২০২৩ ১০:৫৭ এএম
মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র সফরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় সন্ত্রাসবাদ ইস্যুটি তুলে ধরেন তিনি। পাকিস্তানের নাম না নিয়েই মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘রাষ্ট্র সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
১৯৬০ সাল থেকে ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের সঙ্গেই বেশি ঘনিষ্ঠ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। তবে চলতি শতাব্দীর গোড়ার দিকে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমল থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হয় যুক্তরাষ্ট্রের। সেই সম্পর্ক বিগত কয়েক বছরে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
এদিকে ইসলামাবাদের সঙ্গে ক্রমেই দূরত্ব বেড়েছে ওয়াশিংটনের। এ অবস্থায় পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে সরব হন মোদি।
বৃহস্পতিবারের ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের ৯/১১ থেকে শুরু করে মুম্বাইয়ের ২৬/১১ হামলার কথাও উল্লেখ করেন মোদি।
তিনি বলেন, ‘কট্টরপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদ এ বিশ্বের জন্য এক বড় হুমকি।’
ধর্মীয় কট্টরবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের নীতি নতুন মোড়কে সামনে আসে। তবে এর উদ্দেশ্য একটাই। সন্ত্রাসবাদ মানবজাতির শত্রু। যে যে শক্তি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে এবং সন্ত্রাসবাদ রপ্তানি করে তাদের দমন করতে হবে।’
মার্কিন কংগ্রেসে দাঁড়িয়ে চীনকেও পরোক্ষভাবে আক্রমণ শানান মোদি। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের সনদের নীতির প্রতি শ্রদ্ধা, বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি মান্যতার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যবস্থা গড়ে ওঠে।’
মোদি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র ভারতের জন্য পবিত্র একটি মূল্যবোধ। এটি দীর্ঘকাল ধরে বিকশিত হয়েছে এবং বিভিন্ন রূপ ও ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। সেটা হলো, মানুষের সমতা ও মর্যাদাকে সমর্থনকারী চেতনা হলো গণতন্ত্র। গণতন্ত্র হলো সেই ধারণা যা সমালোচনা, বিতর্ক এবং আলোচনাকে স্বাগত জানায়। গণতন্ত্র হলো সেই সংস্কৃতি যা চিন্তা ও ভাব প্রকাশকে ডানা মেলে ধরতে সাহায্য করে। অনাদিকাল থেকে এমন মূল্যবোধ পেয়ে ভারত ধন্য। গণতান্ত্রিক চেতনার বিবর্তনে ভারত এ মূল্যবোধের জননী।’
সন্ত্রাসবাদ, গণতন্ত্র ছাড়াও ইউক্রেন ইস্যুতে মুখ খোলেন মোদি। তিনি বলেন, ‘এটা যুদ্ধের যুগ নয়। এখন আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে হবে। ইউক্রেন সংঘাতের কারণে সেই অঞ্চলে অনেকে কষ্ট পাচ্ছেন। আমি জনসমক্ষে বহুবার বলেছি, যুদ্ধ নয় শান্তি চাই।’
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস