× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর

গুরুত্ব পাবে প্রতিরক্ষা ও স্পর্শকাতর প্রযুক্তি বিষয়ক এজেন্ডা

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৩ ১৩:৩৪ পিএম

আপডেট : ২০ জুন ২০২৩ ১৪:২২ পিএম

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (বাঁয়ে) ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (বাঁয়ে) ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে একটি বিশেষ ফ্লাইটে নয়াদিল্লি ত্যাগ করেছেন। বুধবার (২১ জুন) যুক্তরাষ্ট্রে তার তিন দিনের পূর্ণ মর্যাদার রাষ্ট্রীয় সফর শুরু হবে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের আগে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বৈঠক ও সভায় অংশ নেবেন তিনি।

মোদির এ সফরে সামরিক খাত, জটিল ও স্পর্শকাতর প্রযুক্তি খাত বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে। তার এ সফরেই যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রনিক ভারতে ফাইটার জেটের ইঞ্জিন তৈরির ঘোষণা দিতে পারে। ভারতের জন্য এটা হবে একটা মাইলফলক।

তা ছাড়া জেনারেল অ্যাটমিকসের কাছ থেকে ৩০০ কোটি ডলার মূল্যের ৩১টি সি-গার্ডিয়ান ড্রোন কেনারও ঘোষণা আসতে পারে। বাইডেন প্রশাসনের বাধার কারণে এসব চুক্তি ইতঃপূর্বে করা সম্ভব হয়নি।

ভারতের এক শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, মোদির এ সফরে সেমিকন্ডাক্টর, সাইবারস্পেস, অ্যারোস্পেস, কৌশলগত অবকাঠামো ও যোগাযোগ, বাণিজ্যিক মহাশূন্য প্রকল্প, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চুক্তি হবে।

অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো এবারই ন্যানো প্রযুক্তিসহ কিছু অত্যন্ত দুর্লভ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে লেনদেন বা বিনিময় করতে যাচ্ছে। ওয়াশিংটন সাধারণত তার সামরিক মিত্রদের সঙ্গেই এসব বিষয়ে লেনদেন করে থাকে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, আমাদের দুই দেশের সম্পর্কে (প্রধানমন্ত্রী মোদির এ সফর) একটি মাইলফলক। এটা খুব উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ একটা সফর। এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের প্রতিরক্ষা, বিশেষত সামরিক খাতের সহযোগিতা একটা নতুন পর্বে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এই কর্মকর্তা বলেন, ভারত সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে স্বনির্ভর হতে চায়। এ সফর তার অনেক কিছু নির্ধারণ করে দেবে।

ঐতিহাসিকভাবে ভারত নিজের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তির জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু ১৯৯০-এর দশকে শীতল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি নিজেদের দূরত্ব কমাতে শুরু করে। এতে চড়াই-উতরাই থাকলেও মোটা দাগে দুই দেশের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা কোনো না কোনো মাত্রায় অব্যাহত ছিল। বাইডেন প্রশাসন সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে।

কারণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে চাপে রাখতে ভারতকে কাছে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আর চীনের মতো প্রতিবেশীকে মোকাবিলা করতে দিল্লিরও ওয়াশিংটনকে দরকার।

তবে মোদির এবারের বহুল আলোচিত যুক্তরাষ্ট্র সফর শুধু চীনকে চাপে রাখা বা রাশিয়া থেকে দিল্লিকে দূরের রাখার ওয়াশিংটনের কৌশল হিসেবে দেখলে ভুল হবে বলে মনে করেন সি রাজা মোহন।

নয়াদিল্লিভিত্তিক এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের এই গবেষক মনে করেন, এটাকে (মোদির) রুটিন যুক্তরাষ্ট্র সফর হিসেবে দেখলে ভুল হবে। এটা এশিয়ায় ক্ষমতা বা আধিপত্য চর্চায় নতুন ভারসাম্যের মিশন। এশিয়া একটি বহুশক্তির দেশ। এখানে একক কোনো দেশ পরাশক্তি নয়। তাই (মোদির এ সফর) চীনকে চাপে রাখা বা চীনবিরোধী জায়গা থেকে দেখলে ভুল হবে।

এনডিটিভি জানায়, সফরের প্রথম দিন বুধবার নিউইয়র্কের জাতিসংঘ ভবনে বিশ্ব ইয়োগা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানটি তিনিই পরিচালনা করবেন।

পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ২০১৬ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এটা মোদির দ্বিতীয় ভাষণ।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে উইনস্টন চার্চিল ও নেলসন ম্যান্ডেলার মতো ব্যক্তিরাই দুবার ভাষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তা ছাড়া মোদির আগে ভারতের মাত্র দুজন নেতা পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। ১৯৬৩ সালের জুনে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন এবং ২০০৯ সালের নভেম্বরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন।

শুক্রবার তথা সফরের তৃতীয় ও শেষ দিন মোদি ওয়াশিংটনের রোনাল্ড রিগ্যান বিল্ডিং ও ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারে ভারতের প্রবাসী নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন। একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।

হ্যাঁ, সফরের বিভিন্ন সময়ে হোয়াইট হাউসের রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ, বাইডেনের ব্যক্তিগত নৈশভোজ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের বিশেষ মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন বিজেপির এই প্রধানমন্ত্রী। এসব ভোজে থাকবেন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের আরও কিছু শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তা।

এদিকে ২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা নরেন্দ্র মোদির আমলে ভারতের গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে, বাক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে, সংখ্যালঘু নিপীড়ন অব্যাহতভাবে বেড়েছে বলে ইতঃপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন এনজিও বারবার অভিযোগ করেছে। কিন্তু এসব তিক্ত সত্য নিয়ে গণতন্ত্রের পূজারি যুক্তরাষ্ট্র এখন টুঁ শব্দটিও করছে না।

সূত্র : রয়টার্স, এনডিটিভি

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা