প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩ ১৫:৫৮ পিএম
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৩ ১৭:৫২ পিএম
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (বাঁয়ে) ও শি জিনপিং। ছবি: সংগৃহীত
চীনে দুই দিনের সফরের শেষ দিন সোমবার (১৯ জুন) দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ইতঃপূর্বে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়েংই ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংরের সঙ্গে সাড়ে সাত ঘণ্টার বেশি বৈঠক করেছেন ব্লিঙ্কেন। সঙ্গে ছিলেন দুই দেশের অন্য কর্মকর্তারা।
শির সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বৈঠক এখনও চলছে। তবে তাদের বৈঠকের কিছু কিছু আপডেট আসতে শুরু করেছে।
বিবিসি জানায়, শি ব্লিঙ্কেনকে বলেছেন, কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেক রাষ্ট্রের সম্পর্কের ভিত্তি হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতা। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে আপনি আরও অবদান রাখবেন বলে আমি আশা করি।
ব্লিঙ্কেন শি’কে কী বলেছেন তা এখনও জানা যায়নি।
আলজাজিরা জানায়, ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে ক্ষোভ ঝেড়েছেন সাবেক চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দেশটির শীর্ষ কূটনীতিক ওয়েংই। ব্লিঙ্কেনকে তিনি বলেছেন, বেইজিং-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক আজ তলানিতে ঠেকার পেছেন দায়ী যুক্তরাষ্ট্র। আজ আমাদের সম্পর্ক ঝুঁকিপূর্ণ পর্ব পার করছে। এখন আমাদের আলোচনা অথবা ঝগড়া, সহযোগিতা বা সংঘাত এই দুইটার কোনো একটা বেছে নিতে হবে।
চীনের ঝানু এই কূটনীতিক আরও বলেন, তাইওয়ান ইস্যুতে অন্যায়ভাবে চীনকে চাপে রাখতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। এর কোনো অর্থ নেই। তাইওয়ান চীনের অংশ। এ বিষয়ে চীন কোনো ছাড় দেবে না।
জবাবে ব্লিঙ্কেন তুলনামূলক সমঝোতার সুরে বলেন, যোগাযোগের দরজা সব সময় খোলা রাখতে হবে। প্রতিযোগিতাকে কখনই সংঘাতে রূপ দেওয়া যাবে না।
২০১৯ সালের পর ব্লিঙ্কেনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো শীর্ষ কূটনীতিক চীন সফর করেননি। গত ফেব্রুয়ারিতেই তার বেইজিং সফরের কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় চীনা গোয়েন্দা বেলুন শনাক্ত হওয়ায় তা স্থগিত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেন। সেই যুদ্ধ বাইডেন প্রশাসন অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন চীনা কোম্পানিকে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করার নিষেধাজ্ঞা, বিশেষত চিপ কোম্পানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করায় বিশ্বের শীর্ষ এই দুই অর্থনীতির দেশ স্মরণকালের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে।
সূত্র : বিবিসি, আলজাজিরা