প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৩ ১০:০৭ এএম
বৃহস্পতিবারের অভিযানে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে অংশ নেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ছবি : সংগৃহীত
ব্রিটেনের ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টি দেশটির অভিবাসন নীতি নিয়ে বেশ কঠোর। সে দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্রেভারম্যান বার বার এই নিয়ে সরব হয়েছেন।
এই পরিস্থিতির মধ্যে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সেই অভিযানেই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে অংশ নেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও। অভিযানে যোগ দেওয়া ঋষির ছবি ভাইরালও হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এদিকে জানা গেছে, এই অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে ১০৫ জন বিদেশি নাগরিককে। প্রায় ২০টি দেশের নাগরিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার উত্তর লন্ডনের ব্রেন্টে অভিযান চালিয়েছিল ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। সেই অভিযানেই অংশ নিয়েছিলেন ৪৩ বছর বয়সি ঋষি।
আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনের আগে কনজারভেটিভ পার্টির কঠোর অভিবাসন নীতি কার্যকর করা নিয়ে তৎপর ঋষি।
এই পরিস্থিতিতে মানুষের মনে জায়গা করে নিতে নিজেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানে পথে নামেন তিনি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তার সরকার কোনওভাবেই অবৈধ অভিবাসীদের ছাড় দেবে না।
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেছেন, ‘বেআইনিভাবে দেশে ঢোকা ব্যক্তিরা যদি এখানে কাজ করে উপার্জন করেন, তাহলে তা আমাদের দেশের নাগরিকদের জন্য ক্ষতিকর। কারণ তারা ব্রিটিশ নাগরিকদের কাজ করার সুযোগ কেড়ে নিচ্ছে এবং দেশকে কর দিচ্ছে না।’
ব্রেভারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের আইন ও সীমান্ত লঙ্ঘনকারীদের কোনও ভাবে রেয়াত করা হবে না। সেটা আমাদের প্রধআনমন্ত্রীই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আমরা জানি যে এখানে কাজ করার তাগিদে বহু মানুষ অন্য দেশ থেকে অবৈধ ভাবে ব্রিটেনে আসে। অনেক ঝুঁকি নিয়েই তারা ব্রিটেনে আসে। তবে আজকের এই অপারেশন থেকেই স্পষ্ট, ব্রিটিশ সরকার এই ক্ষেত্রে আর কোনও রকম ছাড় দেবে না।’
জানা গেছে, বৃহস্পতিবারের অভিযানে বেআইনিভাবে কাজ করা ১০৫ জন বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেন ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট অফিসাররা। বিভিন্ন রেস্তোঁরা, গাড়ি পার্কিংয়ের জায়াগায় তল্লাশি চালিয়ে এদের গ্রেফতার করা হয়।
এর মধ্যে ৪০ জনকে অবিলম্বে ব্রিটেন থেকে তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠাতে চলেছে ইমিগ্রেশন অফিস।
পুলিশ এবং ন্যাশাল ক্রাইম এজেন্সির সঙ্গে মিলে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করার কাজ করছে ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট অফিস।
সূত্র : এনডিটিভি