যৌন অপরাধ আইন সংশোধন
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৩ ১৬:১২ পিএম
আপডেট : ১৬ জুন ২০২৩ ১৬:২৩ পিএম
জাপানে যৌন মিলনের সম্মতির বয়স ১৩ থেকে বাড়িয়ে ১৬ করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি
যৌন সম্মতির বয়স ১৩ থেকে বাড়িয়ে ১৬ করেছে জাপান। পাশাপাশি ধর্ষণের সংজ্ঞাও নতুন করে নির্ধারণ করেছে পূর্ব এশিয়ার শিল্পোন্নত দেশটি। দেশটির নতুন আইনে ফুসলিয়ে বা ক্ষমতার অপব্যবহার করে যৌন মিলনও এখন থেকে ধর্ষণ বলে গণ্য হবে।
শুক্রবার (১৬ জুন) দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে এ আইনটি পাস হয়।
১৯০৭ সালে প্রথমবারের মতো ধর্ষণের সংজ্ঞা ও যৌন মিলনের সম্মতির বয়স নির্ধারণ করেছিল জাপান। ১১৬ বছরে মানুষের চিন্তা-চেতনায় এসেছে বিশাল পরিবর্তন। নারী-পুরুষের সম্পর্ক ও দৃষ্টিভঙ্গিও অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। তাই ধর্ষণের সংজ্ঞা ও যৌন সম্মতির বয়স নতুন করে নির্ধারণের জন্য দেশটিতে জনমত জোরদার হচ্ছিল। এ অবস্থায় নতুন এ ঘোষণা এলো।
বিবিসি জানায়, দেশটির আইনে আগে ধর্ষণ বলতে জোরপূর্বক যৌন মিলন বোঝাত। এখন অসম্মতিমূলক যৌন মিলনকেও ধর্ষণ বলে গণনা করা হবে। নতুন সংজ্ঞাকে ঐতিহাসিক মন্তব্য করে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ ও বিশেষজ্ঞরা।
সমালোচকদের মতে, আগের আইনে অসম্মতিক্রমে যাদের সঙ্গে যৌন মিলন করা হতো তারা আইনের সুরক্ষা পেতেন না। এ ধরনের ঘটনাকে ধর্ষণ বলে ধরা হতো না। এমনকি এসব ঘটনা সংবাদপত্রেও প্রকাশ করা হতো না।
নতুন আইনে এমন ৮টি পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা কোনো ভুক্তভোগীর পক্ষে অসম্মতি বলে প্রমাণ করা কঠিন। এখন তা সহজেই ধর্ষণ বলে গণ্য হবে।
এমন কয়েকটি পরিস্থিতি হলো মাদক ও ওষুধ খাইয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে যৌন মিলন করা। সহিংসতা, হুমকি বা ফুসলিয়ে যৌন মিলন করা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে যৌন মিলন করা।
উদাহরণ স্বরূপ, কোনো অফিস বা কোম্পানির অধস্তন নারী কর্মকর্তার সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার যৌন মিলন। ভুক্তভোগী ধর্ষণের অভিযোগ করলে চাকরিচ্যুতি হুমকি বা নানাভাবে কোণঠাসা করে রাখা।
সূত্র : বিবিসি