প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৩ ১৫:২৭ পিএম
আপডেট : ১৫ জুন ২০২৩ ১৬:০৭ পিএম
খার্তুমে গোলাবর্ষণের কারণে ভবন থেকে কালো ধোঁয়া উড়ছে। ছবি : সংগৃহীত
সুদানের বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর জন্য দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করার পর পশ্চিম দারফুর রাজ্যের গভর্নর খামিস আবাকরকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ জুন) তাকে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে। তবে তার মৃত্যুর বিষয়ে এখনও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে দুটি সরকারি সূত্রের উদ্বৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই হত্যার জন্য আরএসএফ দায়ী।
সুদানের সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আরএসএফের বিরুদ্ধে গভর্নরকে অপহরণ ও হত্যা করার অভিযোগ এনেছে।
সেনাবাহিনী ফেসবুকে ওই ঘটনাকে ‘নৃশংস কাজ’ বলে অভিহিত করে বলেছে, এই হত্যাকাণ্ড আরএসএফের বর্বর অপরাধের রেকর্ডে একটি নতুন অধ্যায় যুক্ত করেছে।
আরএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
দারফুর অঞ্চলের গভর্নর মিনি আরকো মিনাউই বলেছেন, পশ্চিম দারফুরের নিহত প্রাদেশিক গভর্নরকে একটি টেলিভিশন স্টেশনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর অপহরণ করে হত্যা করা হয়।
আবাকার এর আগে বুধবার আল হাদাথ টিভিকে বলেছিলেন, বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
বুধবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একদল সশস্ত্র লোক, যাদের কয়েকজন আরএসএফের ইউনিফর্ম পরা, তারা আবাকরকে আটক করছে।
অন্যান্য ক্লিপে গভর্নরকে তার ঘাড়ে ও মুখে ক্ষতসহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
জাতিসংঘ বুধবার বলেছে, সুদানের সংঘাতে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং দারফুরে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হতে পারে।
স্থানীয় কর্মী ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের মতে, পশ্চিম দারফুরের প্রাদেশিক রাজধানী এল-জেনিনাতে আরএসএফ এবং এর সহযোগী যোদ্ধারা গত সপ্তাহে শহরে তাণ্ডব চালিয়ে শত শত লোককে হত্যা ও আহত করেছে।
অধিকারকর্মী ও এল-জেনিনার বাসিন্দারা আরও জানিয়েছেন, কয়েক ডজন নারী তাদের বাড়ির ভেতরে এবং এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টার সময় যৌন আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
সূত্র : আলজাজিরা