প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৩ ০৯:৫৮ এএম
আপডেট : ১৫ জুন ২০২৩ ১১:১৪ এএম
যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় সেনারা আরপিজি ছোড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত
দীর্ঘ পরিকল্পিত
পাল্টা আক্রমণে রাশিয়ার কাছ থেকে ১০০ বর্গকিলোমিটার (৪০ বর্গমাইল) এলাকা
পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে ইউক্রেন।
বুধবার (১৪ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম
আলজাজিরার প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। তবে ঠিক কোন অঞ্চলগুলো ইউক্রেনীয় সেনারা দখল
করতে সক্ষম হয়েছে, তা প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের
মতে, রুশ সেনাদের হাত থেকে যত বেশি অঞ্চল মুক্ত করা সম্ভব হবে, তত রাশিয়াকে আলোচনার
টেবিলে বসাতে রাজি করানোর সম্ভাবনা বাড়বে।
যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
এর আগে বলেছিলেন, পাল্টা আক্রমণ চালাতে গিয়ে ইউক্রেনীয় সেনারা বিপর্যয়কর ক্ষতির সম্মুখীন
হচ্ছে এবং কিয়েভের হতাহতের সংখ্যা মস্কোর প্রায় ১০ গুণ।
পুতিন বলেছিলেন, ‘এখন পর্যন্ত করা সব
পাল্টা আক্রমণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, তবে কিয়েভ সরকারের সেনাদের আক্রমণের শঙ্কা এখনও
রয়েছে।’
যদিও পুতিনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউক্রেনের
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেন প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার ফ্রন্টলাইনে
আক্রমণ বাড়িয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ৯ জুন পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের
ক্রেমিনায় ইউক্রেনের চারটি স্থল হামলা প্রতিহত করেছে।
ইউক্রেনীয় বাহিনী একটি নতুন ফ্রন্টও চালু
করেছে যেখানে দোনেৎস্ক জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক
আক্রমণ প্রতিহতের দাবি করলেও ১১ জুন ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য
স্টাডি অব ওয়ার বলছে, ‘ ভৌগোলিক ফুটেজ
ও রুশ সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে পশ্চিম দোনেৎস্কের একাধিক অঞ্চল মুক্ত করেছে ইউক্রেনীয়
বাহিনী।’
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক
জোট ন্যাটো বলছে, পাল্টা আক্রমণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। যদিও আলজাজিরার প্রতিবেদন
বলছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ধরনের পাল্টা আক্রমণের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে পশ্চিম জাপোরিঝিয়ার
ফ্রন্ট লাইনে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু
বলেছিলেন, ১ হাজার ৫০০ ইউক্রেনীয় সেনা ১৫০টি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানসহযোগে অঞ্চলটিতে
আক্রমণ করে। তবে আর্টিলারি, বিমান ও অ্যান্টি ট্যাংক সমরাস্ত্র দিয়ে রুশ সেনারা সে
হামলা প্রতিহত করেছে। এ লড়াইয়ে ইউক্রেন ৩৫০ সেনা ও ৩০টি ট্যাংক হারিয়েছে।