প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩ ১৪:২৯ পিএম
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৩ ১৫:১৩ পিএম
প্রতীকী ছবি
সারাবিশ্বে প্রায়ই প্রাদুর্ভাব হয়ে ওঠা মশাবাহিত ভাইরাস চিকুনগুনিয়ার বিরুদ্ধে ফরাসি-অস্ট্রিয়ান ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি ভালনেভার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের ব্যাপক আকারের পরীক্ষায় আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া গেছে।
এক গবেষণা প্রতিবেদনে মঙ্গলবার (১৩ জুন) এ কথা জানানো হয়েছে।
ভালনেভার ফলাফলগুলোকে চিকুনগুনিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সুসংবাদ হিসেবে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
ভাইরাসটির অত্যন্ত বিরল উপস্থিতি থাকা যুক্তরাষ্ট্রের লোকদের ওপর পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এএফপি।
বর্তমানে ভাইরাসটির জন্য কোনো ভ্যাকসিন বা চিকিৎসার সুযোগ নেই। ভাইরাসটি খুব কমই মারণঘাতী। তবে এতে আক্রান্ত লোকদের জ্বর হয় এবং কখনও কখনও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়।
ভালনেভা বলেছে, কোম্পানির ‘ভিএলএ১৫৫৩’-নামের ভ্যাকসিনটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অনুমোদনের জন্য আবেদন করার পর দেশ দুটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনা করেছে।
র্যান্ডোমাইজড প্লেসবো কন্ট্রোল ক্লিনিক্যাল ট্রায়েলস (আরসিটিএস) তৃতীয় পর্যায়ে ভাইরাসের দুর্বল রূপটি ব্যবহার করে ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় করাই ছিল এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের লক্ষ্য।
দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে, ২৬৬ জনের ওপর ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৬৩ জনের অর্থাৎ ৯৯ শতাংশের শরীরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা চিকুনগুনিয়া ভাইরাসকে প্রতিহত করতে পারে।
৪,১১৫ সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের ওপর এক ট্রায়ালে ভ্যাকসিনটি মোটামুটিভাবে নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
ভালনেভার ক্লিনিকাল স্ট্র্যাটেজি ম্যানেজার ও গবেষক মার্টিনা স্নাইডার বলেছেন, ‘এটি আসন্ন প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলে ভ্রমণকারীদের জন্য উপলব্ধ প্রথম চিকুনগুনিয়ার ভ্যাকসিন হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতিশীল ফলাফলগুলো টিকা দেওয়ার পরে অ্যান্টিবডি স্তরের ভালো ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে। যেহেতু বয়স চিকুনগুনিয়া রোগের তীব্রতা এবং মৃত্যুহারের জন্য একটি ঝুঁকির কারণ, তাই বয়স্কদের শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে এটি বিশেষভাবে উপকারী ।’
এটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অন্যান্য ভ্যাকসিনের মতোই বলে জানা গেছে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া