প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৩ ১৯:৪১ পিএম
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৩ ১৯:৪৯ পিএম
পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম রাশিয়ার ইয়ারস আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি : স্পুৎনিক
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের কাছাকাছি সময়ে স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন শুরু করবে রাশিয়া।
শুক্রবার (৯ জুন) রাশিয়ার শহর সোচিতে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডারল
লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এমনটাই বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির
পুতিন।
বৈঠকে লুকাশেঙ্কোকে পুতিন বলেন, ‘সবকিছু পরিকল্পনামাফিক
চলছে। প্রাসঙ্গিক সুযোগ-সুবিধার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে এবং আমরা অবিলম্বে প্রাসঙ্গিক
ধরনের অস্ত্র (পারমাণবিক অস্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে) মোতায়েন-সংক্রান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করব।’
এর আগে চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে ইউক্রেনকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধগোলা
সরবরাহ করার সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় মিত্র দেশ বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র
মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য জোর দিয়ে বলে আসছে, ইউরেনিয়াম-সমৃদ্ধ
গোলাগুলো সাধারণ অস্ত্রই। যেগুলো দশকেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র
মোতায়েন বেলারুশের জন্য হুমকি হিসেবে বেশ কয়েকবার উল্লেখ করেছেন লুকাশেঙ্কো। তাই বেলারুশেও
পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
যদিও বেলারুশে রুশ পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্তের ঘটনায় ক্ষোভের
সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ওয়াশিংটন। তারা এটিকে মস্কোর দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সতর্ক করেছে যে এমনটি বাস্তবায়িত হলে মিনস্ককে কৌশলগত অস্ত্রের
হোস্ট হওয়ায় তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে।
মস্কো আগেই ওয়াশিংটনের এই প্রতিক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তারা
বলেছে, (ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের দিকে ইঙ্গিত করে) রাশিয়ার নেওয়া
পদক্ষেপগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া পদক্ষেপের থেকে খুব বেশি আলাদা কিছু নয়।
ক্রেমলিন আরও জোর দিয়ে বলেছে, মিনস্ক স্বাধীনভাবে পারমাণবিক অস্ত্র
ব্যবহার করতে সক্ষম হবে না। এসব অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ মস্কোর হাতেই থাকবে।
সূত্র : রাশিয়া টুডে