প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৩ ১৬:৫১ পিএম
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৩ ১৮:২৯ পিএম
গত বছর সৌদিতে যুবরাজ সালমানের সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার সঙ্গে তেল উৎপাদন কমাতে সৌদি আরবকে এর পরিণাম সম্পর্কে জো
বাইডেন সতর্ক করার পর সৌদির কার্যত শাসক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ব্যক্তিগতভাবে
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ক্ষতি করার হুমকি দিয়েছিলেন।
ফাঁস হওয়া কিছু উপাদানের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এমনটিই জানিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
বাইডেন প্রশাসন গত অক্টোবরে রিয়াদের প্রতি তার অসন্তোষ স্পষ্ট করেছিলেন
যখন রাশিয়াসহ তেল উৎপাদনকারী ওপেকপ্লাস গ্রুপ দিনে ২০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন
কমাতে সম্মত হয়েছিল। রাশিয়াই চাইছিল বিশ্ব বাজারে তেলের উৎপাদন কমিয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার
জবাব দিতে। কিন্তু রাশিয়ার ওপর একের পর নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র চাইছিল,
তার মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘদিনের মিত্র দেশগুলো যেন তেলের উৎপাদন বাড়িয়ে বিশ্ব বাজারে
তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখে। তাই সে সময় বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে
যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপরিশোধিত তেল উৎপাদন কমালে রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক
পুনর্মূল্যায়ন করবে তারা।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই যুবরাজ সালমান যিনি এমবিএস নামে পরিচিত, তিনি সতর্ক
করেছিলেন, বাইডেন সৌদি আরবকে শাস্তি দিলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সঙ্গে আর লেনদেন
করবেন না। এর মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে অর্থনৈতিক পরিণতিবরণ করানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।
এমবিএসের এই হুমকির বিষয়টি একটি ডিসকর্ড সার্ভারে ফাঁস হয়েছিল। যদিও
যুবরাজের পক্ষ থেকে এটি ব্যক্তিগতভাবে পাঠানো কোনো বার্তা কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে
ওয়াশিংটনের হুমকি বাস্তবতার মুখ দেখেনি, এর পরিপ্রেক্ষিতে সালমানও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী
কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই তুরস্কে অবস্থিত সৌদি
দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যার বিষয়টি নিয়ে জো বাইডেনের সঙ্গে যুবরাজ সালমানের
বিরোধ ছিল। যদিও প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরে বাইডেন সৌদি সফর করেন ও সালমানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়
বৈঠকে মিলিত হন।
সম্প্রতি চীনের মধ্যস্ততায় ইরান ও সৌদি আরবের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন,
সিরিয়ার পুনরায় আরব লীগে যোগদান ও বাশার আল আসাদের রিয়াদ সফর- দেশটিতে দীর্ঘদিনের ওয়াশিংটনের
প্রভাব কমে আসার বিষয়টিই স্পষ্ট করেছে। সম্প্রতি সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সৌদি আরব সফর করেছেন ও সালমানের সঙ্গে দেখা করেছেন।
সূত্র : রাশিয়া টুডে