প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৩ ১৩:৪০ পিএম
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩ ১৬:২০ পিএম
তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীনের যুদ্ধবিমান। ছবি : সংগৃহীত
তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে (এডিআইজেড) প্রায় ৬ ঘণ্টার মধ্যে অনুপ্রবেশ করেছে চীনের ৩০টির বেশি যুদ্ধবিমান।
দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, চীনের সামরিক বাহিনীর এ অনুপ্রবেশের একটি তীক্ষ্ণ শক্তি প্রদর্শনের অংশ।
চীন স্বশাসিত তাইওয়ানকে তার এলাকা বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে একদিন তা দখলের অঙ্গীকার করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দ্বীপটির প্রতিরক্ষা অঞ্চলে আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে অনুপ্রবেশ প্রায় দ্বিগুণ করেছে বেইজিং।
তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সান লি-ফ্যাং বৃহস্পতিবার (৮ জুন) জানান, স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় চীনের মোট ৩৭টি সামরিক বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এডিআইজেডে প্রবেশ করে।
বেলা ১১টার দিকে সান বলেন, ‘কোনো কোনো যুদ্ধবিমান দীর্ঘ পরিসরের প্রশিক্ষণের জন্য পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে চলে গেছে।’
তাইওয়ানের এডিআইজেড আকাশসীমার চেয়ে অনেক বড়, যেটি চীনের এডিআইজেডের কিছু অংশের সঙ্গে মিলেছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দ্বীপরাষ্ট্রটির সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টুইটারে জানিয়েছে, ‘টহল বিমান, নৌযান ও স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা অঞ্চল নিয়ে চীনের বর্ধিত অনুসন্ধান বৃহত্তর গ্রে-জোন কৌশলের অংশ, যা দ্বীপটিকে চাপে রাখে।
যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন ও জাপান দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের প্রথমবারের মতো যৌথ কোস্টগার্ড মহড়া সম্পন্ন করার এক দিন পর চীনের যুদ্ধবিমানের এ অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটল।
তাইওয়ানকে একটি সার্বভৌম জাতি হিসেবে বিবেচনা করে এমন যেকোনো কূটনৈতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে চীন প্রতিবাদ জানায় এবং দ্বীপের চারপাশে যেকোনো যৌথ সামরিক মহড়া বা পশ্চিমা রাজনীতিবিদদের সফরে চরম দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে থাকে বেইজিং।
গত এপ্রিলে ক্যালিফোর্নিয়ায় রিপাবলিকান হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি এবং তাইওয়ানের নেতা সাই ইং-ওয়েনের বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং দ্বীপরাষ্ট্রটি অবরোধে তিন দিনের সামরিক মহড়া পরিচালনা করে।
সূত্র : এনডিটিভি