প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩ ১৬:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩ ১৭:০৩ পিএম
এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার যুক্তরাষ্ট্রগামী একটি যাত্রীবাহী বিমান রাশিয়ায় জরুরি অবতরণ করেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই উড়োজাহাজটি মঙ্গলবার (৬ জুন) রাশিয়ার দূর-প্রাচ্যের মাগাদান শহরে অবতরণ করে। তবে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী কোম্পানি বোয়িং ৭৭৭ মডেলের উড়োজাহাজটি মঙ্গলবার সান ফ্রান্সিসকোর উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করে। রাশিয়ার আকাশসীমা অতিক্রম করার সময় উড়োজাহাজটির একটি ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। এ অবস্থায় ২১৬ জন যাত্রী ও ১৬ জন ক্রু নিয়ে উড়োজাহাজটি মাগাদানের একটি বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার এক বিবৃতিতে।
আল-জাজিরা জানায়, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান রাশিয়ায় অবতরণ সম্পর্কে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ’ফ্লাইটটিতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কতজন ছিল তা আমরা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্কট কিরবি রাশিয়ার আকাশসীমা ব্যবহার করা নিয়ে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ’যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নিয়ে কোনো ফ্লাইটের রাশিয়ার আকাশসীমা ব্যবহার করা ঠিক হবে না।’
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ’কোনো ফ্লাইটকে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক নিয়ে রাশিয়ায় অবতরণ করলে একধরনের সংকট দেখা দিতে পারে। তাই এ ধরনের সংকট দেখা দেওয়ার আগেই আমাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের সিইওর সতর্কতার এক দিন পর এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানকে রাশিয়ায় জরুরি অবতরণ করতে হলো।
তবে সোমবারই ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের সিইওর যুক্তি খণ্ডন করেন এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন। তিনি বলেন, ’বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহজে ও তাড়াতাড়ি যোগাযোগের ক্ষেত্রে রাশিয়ার আকাশসীমা বড় ভূমিকা রাখে। এর অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভূমিকা রয়েছে। ভারতের জনগণের ইচ্ছায় আমরা রাশিয়ার আকাশসীমা ব্যবহার করছি।’
ইউক্রেনে হামলার অভিযোগে ২০২২ সালের মার্চে নিজেদের আকাশসীমায় রাশিয়ার ফ্লাইট নিষিদ্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র। পাল্টা রাশিয়াও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইটের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা, চীন ও আফ্রিকার সংস্থাগুলো রাশিয়ার আকাশসীমা ব্যবহার অব্যাহত রাখে। রাশিয়ার আকাশসীমা ব্যবহার করে অল্প সময়ে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা যাওয়া যায়। ফলে যেসব উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা রাশিয়ার আকাশসীমা ব্যবহার করছে না, তারা প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছে।
সূত্র : আল-জাজিরা