প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩ ১৬:৪৩ পিএম
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩ ১৭:৫৭ পিএম
গবেষকদের মতে, জাপানে একসময় ট্যাটু আঁকাকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবেই বিবেচনা করা হতো। ছবি : সংগৃহীত
জাপানে শরীরে ট্যাটু আঁকাকে নিষিদ্ধ বিষয় হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।
বিশেষ করে, ‘ইয়াকুজা’ নামের মাফিয়া
অপরাধী গোষ্ঠীর মধ্যে ট্যাটু আঁকার চল থাকায় সাধারণ জাপানিরা এটিকে ভালো চোখে দেখে না।
এমনকি দেশটির সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও ট্যাটু থাকলে আবেদন বাতিলের বিধান
রয়েছে।
যদিও গবেষকরা বলেন, একসময় দেশটিতে ট্যাটু আঁকা ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার।
ইউরোপীয় সংস্কৃতির মিশ্রণে একসময় পুরো শরীরে ট্যাটু করাকে খারাপ চোখে দেখতে শুরু করে
জাপানি সমাজ।
ইতিহাস বিবেচনায় নয়, বর্তমান বাস্তবতায় কর্তৃপক্ষের অনেকেই এখন চাইছেন সেনা নিয়োগের ক্ষেত্রে এ বিধান তুলে ফেলতে। দেশটির কর্মকর্তারাই বলছেন, তরুণ জাপানিরা এখন নিজেকে ইয়াকুজা অপরাধী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করতে ট্যাটু আঁকায় না, অনেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত কারণেও শরীরে ট্যাটু রাখেন। তাই ট্যাটুর ওপর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া উচিত।
জাপানিজ সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সেস (জেএসডিএফ) জানিয়েছে, গত এপ্রিলে নিয়োগের
ক্ষেত্রে তারা ১০ শতাংশ পদ পূরণ করতে পারেনি। শরীরে ট্যাটু থাকার কারণে অনেকেরই
আবেদন বাতিল করা হয়েছিল। দেশটির ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি মাসাহিসা
সাতো বলেন, ’ট্যাটুর কারণে আবেদন বাতিল করা মানবসম্পদের ভিত্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সমস্যা
তৈরি করছে।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান অর্থনৈতিক উন্নতিতে যে প্রাধান্য দিয়ে
আসছিল, সে তালিকায় এবার সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টিও যোগ দিয়েছে। কারণ চীনের সামরিক
সক্ষমতা বৃদ্ধি ও উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত হুমকির মুখে সামরিক বাজেট দ্বিগুণ করেছে দেশটি। একই
সময়ে তার দরকার জনবল। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির জন্মহারও নাটকীয়ভাবে কমছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পারসোনাল ব্যুরোপ্রধান কাজুহিতো মাসিদা
বলেছেন, জাপানে কমতে থাকা জন্মহারের কারণে হলেও এ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
তবে এখনও নিশ্চিত নয়, কবে নাগাদ এ নিষেধাজ্ঞা উঠতে পারে।
সূত্র : বিবিসি