প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩ ১৪:৪১ পিএম
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩ ১৬:৪৪ পিএম
লন্ডন হাইকোর্টে ঢোকার মুহূর্তে যুবরাজ হ্যারি। ছবি : সংগৃহীত
ফোন হ্যাকিংসহ অবৈধ উপায়ে তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে মিরর গ্রুপ নিউজপেপারস লিমিটেডের (এমজিএন) কর্ণধার এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছেন যুবরাজ হ্যারিসহ অন্তত ১০০ সেলেব্রেটি ।
সেই সূত্রে, ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম ব্রিটিশ রাজকীয় হিসাবে মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি।
লন্ডন হাইকোর্টে সাসেক্সের ডিউক হ্যারি এমজিএন’কে অভিযুক্ত করে বলেছেন যে, কিশোর বয়সে তার ভয়েসমেল হ্যাক করেছিল ওই মিডিয়া গ্রুপের সংবাদপত্রগুলো।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে আদালতকে হ্যারি জানান, ওই ঘটনার পর থেকে তিনি আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ পর্যন্ত জীবনের বেশিরভাগ সময় আমি যন্ত্রণাদায়ক মিডিয়া অনুপ্রবেশের শিকার হয়েছি। মিডিয়ায় আমাকে নেতিবাচক চিত্রায়ন করা হয়েছে।’
হ্যারি জানান, তার বিশ্বাস হ্যাকিং থেকে উদ্ভূত গল্পগুলো কেবল তার নিরাপত্তার উদ্বেগই তৈরী করেনি, বরং রাজপরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
রাজপরিবারের সঙ্গে বারবার তার সম্পর্ক ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করার জন্য তিনি প্রেসকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, ‘সেই উদ্দেশ্য আজও অব্যাহত আছে।’
সাক্ষ্যদানের সময় প্রিন্স হ্যারি এমজিএন মিডিয়া হাউসকে ‘অবিশ্বাস্যভাবে আক্রমণাত্মক’ বলে অভিহিত করেন।
মঙ্গলবার প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, তিনি আজীবন ‘প্রেস আক্রমণ’ সহ্য করেছেন।
তিনি আদালতকে বলেন, ‘কিশোর বয়স থেকে আজ পর্যন্ত আমাকে নিয়ে জঘন্য সব প্রতিবেদন করেছে ওই ব্রিটিশ সংবাদপত্রগুলো। তারা আমাকে প্লেবয় রাজপুত্র, ব্যর্থ মানুষ, প্রতারক, অপ্রাপ্তবয়স্ক মদ্যপানকারী, দায়িত্বহীন মাদক সেবনকারী হিসাবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে।’
যুবরাজ আরও বলেন, তিনি জন্মের পর থেকেই প্রেসের কাছ থেকে শত্রুতা অনুভব করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিরর গ্রুপের আইনজীবী বলেছেন যে তিনি ডিউকের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। তবে, তিনি মিরর গ্রুপের সাংবাদিকদের কর্মকাণ্ডকে বেআইনি বলে মানতে নারাজ।
আদালতে হাজির হওয়ার পর লিখিত বিবৃতিতে প্রিন্স হ্যারি ব্রিটিশ সংবাদপত্রগুলোর বিরুদ্ধে রাজপরিবারের সদস্যদের ভূমিকায় হস্তক্ষেপ করার এবং তার বিকল্প এবং বিকৃত সংস্করণ তৈরির অভিযোগ তোলেন।
সূত্র : এনডিটিভি