প্রতিদিনের বাংলাদেশ ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২২ ১৮:৫৮ পিএম
বরিস জনসন
নজিরবিহীন চাপে পড়ে কনজারভেটিভ দলের প্রধানের পদ ছাড়তে বাধ্য হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসির।
নিজ দলের মন্ত্রীদের একের পর এক পদত্যাগ ও এমপিদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
এসময়ে জনসন বলেন, ‘দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণের প্রক্রিয়া এখন থেকেই শুরু করা উচিত। আর নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাসীন হওয়ার আগ পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী সময়ে একটি নতুন মন্ত্রিসভা নিয়োগ করা হবে। আজ থেকেই এই বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করব আমি।’
জনসন ঘোষণা দেন নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগ অবধি তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
বরিস জনসন নেতৃত্বাধীন সরকার ঘিরে কয়েক মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতা গত মঙ্গলবার এক নতুন মাত্রা পায়। এ দিন মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে অর্থমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করেন।
তারপর দিন জুনিয়র মন্ত্রী ও এমপিদের পদত্যাগ এবং অনাস্থা জানানোর হিড়িক শুরু হয়। বুধবার রীতিমতো পদত্যাগের বন্যা বয়ে যায়। যা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জনেরও বেশি মন্ত্রী ও সহযোগী পদত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ সেটা প্রায় অর্ধশত জনে গিয়ে ঠেকে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের একটি দল ডাউনিং স্ট্রিটে যান প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগে রাজি করাতে। তবে পদত্যাগ না করার বিষয়ে অনড় থাকেন বরিস জনসন। গত নির্বাচনে ভোটারদের ‘বিপুল ম্যান্ডেট’ পাওয়ায় তাঁর পদত্যাগের কোনো ইচ্ছা নেই বলে জানান। পার্লামেন্টের অধিবেশনেও একই ইঙ্গিত দেন তিনি।
কিন্তু আজও মন্ত্রিসভা ও দল থেকে পদত্যাগের ধারা অব্যাহত থাকে। তাঁরা অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর ওপর অনাস্থা জানিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। অব্যাহত চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত নতিস্বীকার করেন বরিস।
তিন বছরেরও কম সময় আগে সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হন বরিস। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তিনি নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে রয়েছে করোনাভাইরাস মহামারিতে আরোপিত লকডাউনের বিধিনিষেধ ভেঙে পার্টি আয়োজন ও জরিমানা প্রদান।