প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৩ ১৮:০৬ পিএম
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৩ ১৮:৩৫ পিএম
প্রতীকী ছবি
কয়েক মাসের মধ্যেই পাকিস্তানে খাবারের ভয়াবহ সংকট দেখা দিতে পারে।
জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন ও ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম এই ভয়াবহ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
খামা প্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যদি আরও বিগড়ে যায়, তবে খাবারের সমস্যাও প্রকট হবে। একই পরিস্থিতি হতে পারে আফগানিস্তানেও।
প্রতিবেদন অনুসারে জানা গেছে, এফএও, ডব্লিউএফপি- এই দুই সংস্থা যৌথভাবে এই প্রতিবেদনকে সামনে এনেছে।
ডব্লিউএফপির প্রতিবেদনে একাধিক দেশকে এই সংকটের হটস্পট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে পাকিস্তান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, দ্য ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, সিরিয়ান আরব রিপাবলিকের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এমনকি মিয়ানমারের জন্যও এই সতর্কতা রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে মূলত আশঙ্কা করা হয়েছে যে আসন্ন মাসগুলোতে মারাত্মক খাবারের সংকট দেখা দিতে পারে। এর জেরে অনেকের জীবন বিপন্ন হতে পারে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মূলত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যখন বিগড়ে যাবে, তখন সমস্য়া আরও বাড়তে পারে। বিদেশ থেকে খাদ্যসামগ্রী আনার ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবার দেখা যাক পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ঠিক কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এনডিটিভির রিপোর্ট অনুসারে, পাকিস্তানের প্রায় ৮৫ লাখ মানুষ মারাত্মক খাদ্যসংকটের মধ্য়ে পড়তে পারেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের মধ্য়ে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
সেই সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, আফগানিস্তানের ৭০ শতাংশ মানুষ সারা দিনে দুবেলা খাবারও যথাযথভাবে পান না।
মূলত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা এতটাই বিগড়ে যাচ্ছে যে বহু বাড়িতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার মতো পরিস্থিতিই নেই।
অন্যদিকে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হলে বিদেশ থেকে কয়লা ও খাবার আমদানির ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস