প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৩ ০৯:৪৮ এএম
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৩ ১২:৩১ পিএম
তুরস্কের সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় কমান্ডো ব্রিগেড। ছবি : সংগৃহীত
কসোভো ও সার্বিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনার মাঝেই এবার কসোভোতে কমান্ডো ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করতে যাচ্ছে তুরস্ক। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার (৩ মে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর অনুরোধে সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে তারা।
বিবৃতিতে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘তুরস্ক বলকান অঞ্চলের পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সেখানে আমাদের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ রয়েছে। সাম্প্রতিক ইস্যুগুলো সমাধানে তুরস্কের অবস্থান হবে গঠনমূলক।’ উল্লেখ্য, পুরো বলকান অঞ্চলই একসময় তুরস্কের অটোমান সম্রাজ্যের অধীনে ছিল।
আঙ্কারার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, তুর্কি সেনাদের সার্বিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে, যেখানে সার্ব জাতিগোষ্ঠীর বাস।
সম্প্রতি সার্বিয়া ঘেঁষা ৪টি শহরে মেয়র নির্বাচন নিয়ে সেসব অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সার্বদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এমনকি কসোভোতে মোতায়েন ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষেও লিপ্ত হয়েছে তারা। ২৫ জন ন্যাটো সেনা আহতও হয়েছে।
সার্বিয়া অভিযোগ করে বলেছে, কসোভো পুলিশ দেশটিতে বসবাসরত সার্বদের নির্যাতন করছে। এমন পরিস্থিতিতে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিক তার সেনাবাহিনীর জন্য সম্পূর্ণ যুদ্ধ সতর্কতা জারি করেছেন এবং সেনা ইউনিটগুলোকে সীমান্তের কাছাকাছি যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এমন অবস্থায় গত সপ্তাহে পশ্চিমা সামরিক জোটটি এক বিবৃতিতে বলেছিল, নতুন করে তারা আরও ৭০০ সেনা কসোভোতে পাঠাবে। তুরস্কের সেনারা সম্ভবত সেই বর্ধিত ইউনিটের অংশ। এরই মধ্যে দেশটিতে ৩ হাজার ৮০০ ন্যাটো সেনা মোতায়েন রয়েছে।
সার্বিয়া ও কসোভো দুই দেশই সাবেক যুগোস্লাভিয়ার অংশ। তবে স্বাধীন দেশ হিসেবে কসোভোকে স্বীকৃতি দেয়নি বেলগ্রেড। তারা মনে করে, অঞ্চলটি তাদের ভূখণ্ডের অংশ। সার্বিয়ার ঐতিহাসিক মিত্র রাশিয়াও কসোভোর স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়নি। মস্কোর ভেটোর কারণে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য হতে পারেনি কসোভো।
সূত্র : রাশিয়া টুডে