ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩ ১৩:১৪ পিএম
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩ ১৩:৫১ পিএম
রেললাইনে পাওয়া সেই কবিতার খাতার দুটি পাতা। ছবি: সংগৃহীত
‘অল্প অল্প মেঘ থেকে হালকা হালকা বৃষ্টি হয়, ছোট্ট ছোট্ট গল্প থেকে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়...’
কবিতাটি কে লিখেছেন, কার জন্য লিখেছেন, তার বিন্দুবিসর্গ জানার উপায় এই মুহূর্তে নেই। তার বয়স কত, উপায় নেই তাও জানার। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাস্থলে ছোপ ছোপ রক্ত, রক্তমাখা দেহের স্তূপ, এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছেঁড়া জামাকাপড়, খাবার, ব্যাগপত্র, বাচ্চাদের খেলনার মাঝে পাওয়া গিয়েছে একটি কবিতার খাতাও। তাতেই লেখা এই কবিতা। অপটু হাতে, সুন্দর করে নকশার কারসাজিও রয়েছে কবিতার লাইনের মাঝেমাঝে।
ওই খাতায় উল্টেপাল্টে দেখার সময় আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিনিধির চোখে পড়ল আরও একটি কবিতা। কবিতাটার শুরুটা এ রকম :
‘ভালবাসা এই মন তোকে চায় সারাক্ষণ,
আছিস তুই মনের মাঝে
পাশে থাকিস সকাল সাঁঝে।
কী করে তোকে ভুলবে এই মন,
তুই যে আমার জীবন...’
সম্ভবত, কবিতার খাতার মালিক দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটিতেই ছিলেন। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, সেই কবিতার খাতা ছিটকে এসে পড়েছে ভাঙা লাইনে। কবিতার খাতার মালিক সুস্থ, আহত না মৃত, তা জানা সম্ভব হয়নি।
যিনি লিখেছেন, তিনি প্রেমিক না প্রেমিকা, তা-ও জানা সম্ভব হয়নি। তবে লেখা পড়ে বোঝা যায়, কবিতাটি প্রিয় কারও উদ্দেশে লেখা। যার উদ্দেশে এই কবিতা লেখা, এই কবিতার খাতা কি তার কাছেও কোনোদিন পৌঁছবে! তা-ও জানার উপায় নেই।
শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খায়। ধাক্কা খেয়ে করমণ্ডলের কিছু বগি পাশের লাইনে গিয়ে পড়ে। কয়েক মিনিট পর বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস সেই কামরাগুলোর সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সর্বশেষ তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত অন্তত ২৮৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯০০ জনের বেশি। নিহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, দ্য হিন্দু