প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩ ১৯:৩৭ পিএম
আপডেট : ৩১ মে ২০২৩ ১৯:৪৭ পিএম
কসোভোর উত্তেজনায় যুদ্ধ সতর্কতায় রয়েছে সার্বিয়ার সেনারা। ছবি : সংগৃহীত
কসোভোতে বসবাসকারী সার্ব জনগণকে সমর্থন করে রাশিয়া এবং দেশটি মনে করে কসোভোর অবশ্যই উচিত সার্বদের আইনি অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করা। বুধবার (৩১ মে) এক বিবৃতিতে এমনটিই বলেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
গত মাসে হওয়া নির্বাচনের পর মুসলিম সংখাগরিষ্ঠ ইউরোপের দেশটির উত্তরে
সার্ব-সংখ্যাগরিষ্ঠ চার অঞ্চলে আলবেনীয় মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু
হয়েছে। সার্বরা সে নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আলবেনীয়রা অঞ্চলগুলোতে
মেয়র নির্বাচিত হয়েছে।
পেসকভ তার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মস্কো কসোভোর
চলমান অস্থিরতাকে উদ্বেগের সঙ্গে অনুসরণ করছে। আমরা সার্বিয়া ও সার্বদের নিঃশর্তভাবে
সমর্থন করি। আমরা মনে করি, কসোভোকে অবশ্যই সার্বদের সব আইনগত অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা
করতে হবে। উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের কোনো জায়গা থাকতে পারে না।’
এদিকে সার্ব বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেশটিতে মোতায়েন ন্যাটো শান্তিরক্ষীদের
সংঘাতও হয়েছে। এতে অন্তত ২৫ জন ন্যাটো সেনা আহত হয়েছেন। এমন অবস্থায় মঙ্গলবার পশ্চিমা
সামরিক জোটটি এক বিবৃতিতে বলেছে, নতুন করে তারা আরও ৭০০ সেনা কসোভোতে পাঠাবে। এরই মধ্যে
দেশটিতে ৩ হাজার ৮০০ ন্যাটো সেনা মোতায়েন রয়েছে।
সার্বিয়া অভিযোগ করে বলেছে, কসোভো পুলিশ দেশটিতে বসবাসরত সার্বদের
নির্যাতন করছে। এমন পরিস্থিতিতে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিক তার সেনাবাহিনীর
জন্য সম্পূর্ণ যুদ্ধ সতর্কতা জারি করেছেন এবং সেনা ইউনিটগুলোকে সীমান্তের কাছাকাছি
যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সার্বিয়া ও কসোভো দুই দেশই সাবেক যুগোস্লাভিয়ার অংশ। তবে স্বাধীন
দেশ হিসেবে কসোভোকে স্বীকৃতি দেয়নি বেলগ্রেড। তারা মনে করে, অঞ্চলটি তাদের ভূখণ্ডের
অংশ। সার্বিয়ার ঐতিহাসিক মিত্র রাশিয়াও কসোভোর স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়নি। মস্কোর
ভেটোর কারণে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য হতে পারেনি কসোভো।
সূত্র : আল-আরাবিয়া