প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩ ১৪:২৪ পিএম
আপডেট : ৩১ মে ২০২৩ ১১:০৪ এএম
ন্যাটোর শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায় সার্বরা। ২৯ মে কসোভোর উত্তরাঞ্চলে। ছবি: সংগৃহীত
কসোভোয় ন্যাটোর সেনাদের ওপর হামলা হয়েছে। সোমবার (২৯ মে) সকালের এ হামলায় সেখানে নিয়োজিত ন্যাটোর শান্তিরক্ষী বাহিনীর (কেএফওআর) অন্তত ২৫ সেনা আহত হয়েছেন।
সার্ব অধুষ্যিত কসোভোর উত্তরাঞ্চলে আলবেনিজ বংশোদ্ভূত মেয়র নিয়োগকে কেন্দ্র করে ওই সংঘাত ঘটে। কসোভো সরকারের ওই বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় নিয়োজিত ন্যাটোর শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায় সার্বরা। যুক্তরাষ্ট্র কসোভোর মেয়র নিয়োগের সমালোচনা করেছে।
রয়টার্স জানায়, কসোভোর উত্তরাঞ্চলের চারটি প্রশাসনিক ইউনিটে এপ্রিলে মেয়র নির্বাচন হয়। কসোভোর ৯০ শতাংশ মানুষ আলবেনিজ বংশোদ্ভূত হলেও ওই অঞ্চলটি সার্ব অধ্যুষিত। সার্বরা এপ্রিলের নির্বাচন বয়কট করে।
শুক্রবার (২৬ মে) চার জনের মধ্যে তিন জন মেয়র পুলিশ পাহারায় অফিসে যায়। সার্বরা এটা প্রতিবাদ করে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ন্যাটোর যে সব সদস্য আহত হয়েছে তারা ইতালি ও হাঙ্গেরির। আহতদের মধ্যে হাঙ্গেরির ২০ জন। ২০ জনের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের চিকিৎসা করার জন্য হাঙ্গেরিতে নিয়ে আসা হয়েছে। আর বাকিরা ইতালির। উভয় দেশ সেনাদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
১৯৯৮-৯৯ সালে সার্ব ও আলবেনিজরা জাতিগত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ন্যাটোর হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়। ২০০৮ সালে নিজেদের স্বাধীন ঘোষণা করে কসোভো।
এরপর থেকে কসোভোর সার্ব-অধুষ্যিত অঞ্চলে ন্যাটোর শান্তিরক্ষী বাহিনী কাজ করছে। ২০১৩ সালে কসোভোর উত্তরাঞ্চলের সার্ব অধুষ্যিত প্রশসনিক ইউনিটগুলো কীভাবে শাসন করা হবে, তা নিয়ে একটি প্রস্তাব দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইইউর প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে কসোভোর সার্বদের। এই সার্বরা কসোভো নয়, বরং সার্বিয়াকেই নিজেদের দেশ মনে করে। সার্বরা ধর্মে প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টান। আলবেনিজরা মুসলমান।
সূত্র: রয়টার্স