প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:৫৫ পিএম
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:৪৭ পিএম
সোনিয়া গান্ধী।
ভারতের অন্যতম রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক নির্বাচন-সংক্রান্ত কমিটির ভারপ্রাপ্ত নেতা মধুসূদন মিস্ত্রি ভোটের ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে--সোনিয়া গান্ধীর উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার জন্য কংগ্রেসে আগামী ১৭ অক্টোবর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগণনা হবে ১৯ অক্টোবর। ২৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়নপত্র পরীক্ষা হবে ১ অক্টোবর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ অক্টোবর। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইচ্ছুক প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র তুলতে হবে নয়াদিল্লির ২৪ আকবর রোডের এআইসিসি সদর দপ্তর থেকে।
তবে প্রতিটি রাজ্যেই থাকবে ভোটদানের ব্যবস্থা।
কংগ্রেসের সাংগঠনিক বিধির ১৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সর্বসম্মতিক্রমে কেউ সভাপতি হিসেবে মনোনীত হলে কিংবা একের বেশি প্রার্থী না থাকলে নির্বাচনের প্রয়োজন পড়বে না। যদিও বর্তমান পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, শেষ পর্যন্ত ২২ বছর পর ফের কংগ্রেসের শীর্ষপদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। গান্ধী পরিবারের অনুগত অশোক গহলৌত বনাম শশী থারুরের ভোটযুদ্ধ দেখা যেতে পারে অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে।
ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, রাজস্থানের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ৭১ বছর বয়স্ক অশোক কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের অন্যতম। ছাত্রজীবন থেকেই কংগ্রেসের রাজনীতি করেছেন তিনি। ‘গান্ধী পরিবারের অনুগত এবং আস্থাভাজন’ হিসেবেই দলের ভেতরে পরিচিত অশোক। অন্য দিকে তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী থারুর ইউপিএ আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন।
২০২০ সালের আগস্টে কংগ্রেসের ভেতরে ‘সুনেতৃত্বের অভাব এবং সাংগঠনিক সমস্যা’ তুলে ধরে অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়াকে যে ২৩ জন নবীন ও প্রবীণ নেতা চিঠি পাঠিয়েছিলেন, সেই তালিকার অন্যতম নাম থারুর। দলে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের পাশাপাশি, ‘হাইকমান্ডের’ কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা সেই ‘বিদ্রোহী ২৩’ (জি-২৩ নামে যারা পরিচিত)-এর মধ্যে গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বল, জিতিন প্রসাদের মতো কয়েকজন আগেই দল ছেড়েছেন।
বুধবার মধ্য প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংও সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সর্বশেষ ২০০০ সালে কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য ভোটাভুটি হয়েছিল। সেই নির্বাচনে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাবেক সহসভাপতি প্রয়াত জিতেন্দ্র প্রসাদকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন সোনিয়া।
প্রবা/জিজি/টিকে/ এমআই