প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৩ ০৮:৫০ এএম
আপডেট : ২৫ মে ২০২৩ ০৮:৫৩ এএম
ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। ছবি : সংগৃহীত
পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত শহর নিয়ন্ত্রণের জন্য মাসব্যাপী লড়াইয়ে রাশিয়ার
ভাড়াটে সেনা গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রায় ২০ হাজার সেনা নিহত হয়েছে। এমনটা জানিয়েছেন খোদ
ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।
চলতি সপ্তাহেই বাখমুত নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করেছেন প্রিগোজিন।
যদিও কিয়েভের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শহরে রুশ সেনারা প্রবেশ করলেও এখনও লড়াই চালিয়ে
যাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
প্রিগোজিন আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রশিয়ার হয়ে লড়তে দেশটির কারাগারে
বন্দি থাকা ৫০ হাজার ব্যক্তি নিয়োগ দিয়েছিল ওয়াগনার। এরই মধ্যে লড়াইয়ে প্রায় ২০ শতাংশ
নিহত হয়েছে। গত বছর প্রিগোজিন রুশ কারাগারগুলো পরিদর্শন করেছিলেন বন্দীদের ইউক্রেন
যুদ্ধে যোগদানে রাজি করাতে। যদি তারা বেঁচে থাকতে পারেন, তবে দেশে মুক্ত হয়ে ফিরতে
পারবেন।
তার বাহিনীর সেনাদের মৃত্যুতে বড় বিপদের শঙ্কা করছেন প্রিগোজিন। এক
ভিডিওতে তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি সাধারণ রুশরা তাদের সন্তানদের কফিনে ফিরিয়ে আনতে
থাকে, যখন অভিজাত শ্রেণীর শিশুরা সূর্যের আলোতে আলস্য নাড়া (ঘুম থেকে উঠা) দেয় তখন
১৯১৭ সালে বলশেভিকদের ক্ষমতায় আনার মতই অশান্তির ঝুঁকি তৈরি হয়। এই বিভাজন ১৯১৭ সালের
মতোই বিপ্লবের মাধ্যমে শেষ হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে সেনারা উঠে দাঁড়াবে, এরপর তাদের
প্রিয়জনেরা উঠে দাঁড়াবে। এদের মধ্যে এরই মধ্যে কয়েক হাজার নিহতের আত্মীয়। সম্ভবত আমরা
এটি এড়াতে পারি না।’
এদিকে অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি যুদ্ধক্ষেত্রেও বড় চ্যালেঞ্জের
মুখোমুখি রাশিয়া, এমনটাই মনে করেন প্রিগোজিন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন একটি
পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার লক্ষ্য ২০১৪ সালের আগের সীমানায় রুশ সেনাদের ফিরিয়ে
নেওয়া। ইউক্রেন পূর্বে বাখমুতকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করবে এবং ক্রিমিয়া আক্রমণ করবে।
সম্ভবত পরিস্থিতি রাশিয়ার জন্য ভালো হবে না, তাই আমাদের কঠিন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত
হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে আছি যে আমরা
রাশিয়াই হারাতে পারি। এটিই আমাদের প্রধান সমস্যা। আমাদের সামরিক আইন জারি করতে হবে।’
সম্প্রতি রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে হামলার দিকে আলোকপাত করে রাশিয়ার
সামরিক নেতৃত্বের ব্যর্থতার কথা বলেছেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার আরও
গভীরে আঘাত হানতে চাইবে।ওয়াগনার প্রধানের মতে, রাশিয়ার আরও বেশি পুরুষকে একত্রিত করা
এবং অর্থনীতিকে একচেটিয়াভাবে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা দরকার।
চলতি মাসের শুরুর দিকে রুশ প্রতিরক্ষা প্রধানের বিরুদ্ধে তার সেনাদের
পর্যাপ্ত গোলাবারুদ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করেন এবং বাখমুত থেকে সরে যাওয়ার
হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি সে সময় সারি সারি লাশের সামনে ভিডিও শুট করেছিলেন এবং বলেছিলেন
যে অস্ত্রের অভাবে এসব সেনা মারা গেছে।
সূত্র : রাশিয়া টুডে