জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩ ১৬:১০ পিএম
আপডেট : ২৪ মে ২০২৩ ১৮:১৯ পিএম
চীনের অন্যতম প্রধান নদী ইয়াংজিতে কয়েক বছর ধরে তীব্র পানিসংকট চলছে। ২০২২ সালের আগস্টে তোলা। ছবি : সংগৃহীত
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিন্দুকুশ ও হিমালয় পর্বতমালা থেকে নেমে আসা ১০টি নদী বিভিন্ন মাত্রায় শুকিয়ে যেতে পারে। ফলে বাংলাদেশসহ এশিয়ার ১৬টি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জ্বালানি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে। গুরুতর এ সংকট মোকাবিলায় কালবিলম্ব না করে এখনোই সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বুধবার (২৪ মে) চায়না ওয়াটার রিস্ক থিঙ্ক ট্যাংকের এক গবেষণায় এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
গবেষণাটির বরাতে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হিন্দুকুশ ও হিমালয় থেকে নেমে আসা ১০টি নদীর দুই তীরে কোটি কোটি মানুষের বাস। এই ১০ নদীর বার্ষিক মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কয়েক বিলিয়ন ডলার।
কিন্তু হিমবাহ গলে যাওয়া ও ‘চরম আবহাওয়ার’ কারণে এসব নদীর পানির উৎসস্থল বড় ঝুঁকিতে পড়ছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের মানুষ গভীর ও জটিল সংকটে পড়তে যাচ্ছে।
গবেষণায় বলা হয়, কার্বন নিঃসরণ বা জলবায়ু পরিবর্তনে সহায়ক বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে উল্লিখিত সব নদী বড় ধরনের পানিসংকটে পড়বে। অথচ এই অঞ্চলের দেশে দেশে পানিনির্ভর জ্বালানি অবকাঠামোর নির্মাণ বাড়ছে। এসব কিছু অত্যন্ত ভয়ংকর ভবিষ্যতের ইশারা দিচ্ছে।
যে ১০টি নদী শুকিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গঙ্গা (পদ্মা) ও ব্রহ্মপুত্র, চীনের ইয়াংজি ও ইয়েলো এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আন্তঃসীমান্তবর্তী নদী মেকং ও সালউইন অন্যতম।
সংশ্লিষ্ট ১০ নদী এশিয়ার ১৬ দেশের তিন-চতুর্থাংশ জলবিদ্যুৎ, ৪৪ শতাংশ কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভূমিকা রাখে।
এ অবস্থায় নদীগুলো পানি সংকটে পড়লে এই অঞ্চলের প্রায় ৮৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি ‘তীব্র’ থেকে ‘বেশ তীব্র’ বলে মনে করেন গবেষকেরা।
সূত্র : রয়টার্স।