প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৩ ১২:২২ পিএম
বাখমুতের ফ্রন্টলাইনে শহরের ধ্বংসলীরার চিত্র। ছবি : রয়টার্স
মস্কোর ভাড়াটে সেনা গ্রুপ ওয়াগনার এবং রাশিয়ার সেনারা বাখমুত দখলের পরে ধ্বংসপ্রাপ্ত পূর্ব শহরটিকে ফের কব্জা করতে ইউক্রেনের বাহিনী চারদিক থেকে শহরটিকে ঘিরে ফেলতে অগ্রসর হচ্ছে বলে রবিবার (২১ মে) দাবি করেছে কিয়েভ।
শনিবার রাশিয়া জানিয়েছিল, তারা বাখমুতকে সম্পূর্ণভাবে দখলে নিয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে এই শহর দখলের ১৫ মাসের যুদ্ধের দীর্ঘতম এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছে।
বাখমুত দখলের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার নিয়মিত সেনা এবং ওয়াগনার গ্রুপের প্রশংসা করেছেন।
তবে, একজন শীর্ষ ইউক্রেনীয় জেনারেল ওলেক্সান্ডার সিরস্কি এক টেলিগ্রাম পোস্টে রবিবার বলেছেন, ‘কিয়েভের সেনারা শহরতলিতে রাশিয়ান বাহিনীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং শহরের একটি কৌশলগত ঘেরাও করার ছকের কাছাকাছি পৌঁছেছে।’
ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর কমান্ডার সিরস্কি আরও বলেন, তিনি বাখমুতের কাছে সম্মুখসারির অবস্থানগুলো পরিদর্শন করেছেন, যেখানে নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চলছে।
সিরস্কির দাবি, ইউক্রেনের বাহিনী শহরের চারপাশে তাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
একই দাবি করেছেন ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ারও।
মালিয়ার টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনী শহরটিকে একটি আধা-বেষ্টনীতে নিয়ে এসেছে, যা আমাদের শত্রুকে ধ্বংস করার সুযোগ করে দিয়েছে। শত্রুকে তার নিয়ন্ত্রণ করা শহরের অংশে আত্মরক্ষা করতে হবে।’
ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় বাখমুতের আশেপাশে রাশিয়ার আক্রমণ থামেনি, যার মধ্যে শহর এবং ইভানিভস্কের পশ্চিম দিকের গ্রামে বিমান হামলাও রয়েছে।
পরে রবিবার ওয়াগনার নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন টেলিগ্রামে একটি অডিও বার্তায় বলেন, তার গোষ্ঠীর কাজ হয়ে গেছে এবং তার বাহিনী কয়েক দিনের মধ্যে বিরোধপূর্ণ অঞ্চল ছেড়ে যাবে।
প্রিগোজিন বলেন, ‘ওয়াগনার আজ কোন অঞ্চল দখল করেনি। আমরা যে সসব অঞ্চল দখল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, শেষ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তা দখল করেছি। আমরা রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে আমাদের দখল করা অবস্থান হস্তান্তর করছি এবং ২৫ মে আমরা বিরোধপূর্ণ এলাকা ছেড়ে চলে যাবো।’
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে বাখমুতের কোন কৌশলগত মূল্য নেই। কিন্তু মস্কো বলছে, এটি দখল করলে ডনবাসের শিল্প অঞ্চলের দিতে আরও অগ্রসর হওয়ার সুযোগ করে দেবে।
সূত্র : রয়টার্স