প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩ ১৮:৩৯ পিএম
আপডেট : ২০ মে ২০২৩ ১৯:৩১ পিএম
গোলা ছোড়ার কারণে শুক্রবার দক্ষিণ খার্তুমের ভবনগুলোর ওপরে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। ছবি : সংগৃহীত
সুদানের রাজধানী খার্তুমের বাইরের অঞ্চলে আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) অবস্থান লক্ষ্য করে কামান থেকে গোলা ছুড়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
এর মাধ্যমে দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে চলমান লড়াই ষষ্ঠ সপ্তাহে গড়িয়েছে।
ওই লড়াই বেসামরিক নাগরিকদের চরম মানবিক সংকটে ফেলেছে এবং দশ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।
শনিবারও (২০ মে) দক্ষিণ ওমদুরমান এবং খার্তুম উত্তরে প্রত্যক্ষদর্শীরা বিমান হামলার খবর জানিয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ওমদুরমানে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার কাছে বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে।
ওমদুরমানের আল-সালহা পাড়ায় বসবাসকারী ৩৩ বছর বয়সি সানা হাসান বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকালে আমরা ভারী কামানের গোলার মুখোমুখি হয়েছিলাম। আমাদের পুরো বাড়ি কাঁপছিল। এটা ভয়ঙ্কর ছিল। সবাই তাদের বিছানার নিচে শুয়ে ছিল। যা ঘটছে তা দুঃস্বপ্ন।’
খার্তুমে পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে শান্ত ছিল, যদিও এখানে বিক্ষিপ্ত গুলির শব্দ শোনা গেছে।
১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া এই সংঘাত প্রায় ১০ লাখ মানুষকে অভ্যন্তরীণ এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে বাস্তুচ্যুত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সুদানে প্রায় ৭০৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৫ হাজার ২৮৭ জন আহত হয়েছে।
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে যুদ্ধের মধ্যে লুটপাটের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে দায়ী করেছে।
অন্যদিকে, প্রায় সব শহরেই খাদ্য, নগদ ও প্রয়োজনীয় জিনিসের মজুদ দ্রুত কমে যাচ্ছে।
জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পৃষ্ঠপোষকতায় আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি এবং উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দারফুর অঞ্চলে নায়ালা ও জালেনজেই শহরে আবারও স্থলযুদ্ধ শুরু হয়েছে।
দেশটির অন্যতম বৃহত্তম শহর নায়ালায় লড়াইয়ের জন্য উভয় পক্ষই শুক্রবার বিলম্বিত বিবৃতিতে একে অপরকে দোষারোপ করেছে। শনিবার সকালে সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের কাছে শহরের প্রধান বাজারে বিক্ষিপ্ত বন্দুক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অধিকারকর্মীদের মতে, আগের দুই দিনের লড়াইয়ে প্রায় ৩০ জন মারা গেছেন।
দেশটির সাবেক নেতা ওমর আল-বশিরের কয়েক দশকের স্বৈরাচারী শাসনের পরে সুদানকে গণতন্ত্রে স্থানান্তর করতে আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত চুক্তির অধীনে আরএসএফকে সেনাবাহিনীতে একীভূত করার পরিকল্পনা এবং ভবিষ্যতের চেইন অব কমান্ড নিয়ে বিরোধের পরে খার্তুমে যুদ্ধ শুরু হয়।
সূত্র : আল-জাজিরা।