ঘূর্ণিঝড় মোখা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৩ ১৪:২৪ পিএম
আপডেট : ১৯ মে ২০২৩ ১৫:২২ পিএম
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভি জানিয়েছে, গত সপ্তাহান্তে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় মোখার আগাতে অন্তত ৫৪ জন নিহত এবং ১ লাখ ৮৫ হাজারেরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যোগাযোগের সমস্যা এবং তথ্যের ওপর সামরিক সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে হতাহত ও ধ্বংসের প্রকৃত পরিমাপ করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয়রা আল জাজিরাকে জানিয়েছে, সম্ভবত শত শত মানুষ মারা গেছে এবং উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারা এখনও সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছেন।
ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ইউএনওসিএ) জানিয়েছে, ‘রাখাইনে ব্যাপকভাবে বাড়িঘর ও অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।’
ইউএনওসিএ আরও জানিয়েছে, ‘জরুরি প্রয়োজনের মধ্যে রয়েছে আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য সহায়তা এবং স্বাস্থ্যসেবা। জলবাহিত রোগের বিস্তারেও প্লাবিত এলাকায় উদ্বেগ বাড়ছে।’
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেও ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়েছিল, সেখানে বাড়িঘর উড়ে বা ভেসে গেছে।
প্রবল বাতাস এবং বৃষ্টি কাচিন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত লোকদের শিবিরগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
শুক্রবার (১৯ মে) মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে ত্রাণসামগ্রী বহনকারী চতুর্থ ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ প্রত্যাশিত ছিল।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘জাহাজগুলো জরুরি খাদ্যসামগ্রী, তাঁবু, প্রয়োজনীয় ওষুধ, জলের পাম্প, বহনযোগ্য জেনারেটর, জামাকাপড়, স্যানিটারি এবং স্বাস্থ্যবিধি আইটেম বহন করছে।’
যুক্তরাজ্য শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা আনুমানিক ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষের জন্য মানবিক সহায়তায় ২ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড প্রদান করবে।
মিয়ানমারে ইউএনডিপির জন্য কাজ করা বেন স্মল টুইটারে লিখেছেন, ‘সাইক্লোন মোখাকে কেন্দ্র করে সিত্তওয়ে শহরের পশ্চিমে সেতুগুলো ভেঙে পড়ে। ওই এলাকার ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য একটি মাত্র প্রবেশপথ রয়েছে। এটি দ্রুত মেরামত করা দরকার।’
বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকে (ব্রুক) বুধবার জানিয়েছে, ‘ক্যাম্পে থাকা অন্তত ৪০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের চলাফেরায় কঠোর নিষেধাজ্ঞাসহ বসবাস করছেন।
ব্রুক প্রেসিডেন্ট তুন খিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কোনো মানবিক সহায়তা ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের কাছে পৌঁছায়নি। বার্মিজ সামরিক বাহিনী তাদের সাহায্য করছে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চিকিৎসা ও মানবিক সাহায্যের মাধ্যমে বেঁচে যাওয়া লোকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য জরুরিভাবে কাজ করতে হবে, অন্যথায় আরও অনেকে মারা যাবে।’
সূত্র : আলজাজিরা