প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৩ ১১:১৩ এএম
আপডেট : ১৭ মে ২০২৩ ১১:২৪ এএম
খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছে আফগানিস্তানের মানুষ। কাবুল থেকে সম্প্রতি তোলা। ছবি : সংগৃহীত
আফগানিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে। খাদ্য সংকটে থাকা মানুষের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৮ লাখ ৭৫ হাজার, যাদের পুষ্টিহীনতা ভয়াবহ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনের বরাতে আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ জানায়, তালেবান সরকার এনজিওতে নারীদের কাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অল্প পরিমাণে শিথিল করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এ অবস্থায় অনেক দেশি ও বিদেশি এনজিওতে নারীরা কাজ করতে পারছে না।
তা ছাড়া নারীদের সমাজ ও রাষ্ট্রের অন্য ক্ষেত্রেও কড়াকড়িতে রাখা হয়েছে। ফলে অনেক দাতাপ্রতিষ্ঠান তহবিল বন্ধ করেছে বা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে দেশটিতে খাদ্য সংকট আরও বেড়েছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, আমার হাতে যতটুকু তথ্য আছে, তাতে বলা যায় আফগানিস্তানের মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপর্যয়কর। দেশটির এনজিও কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে। এনজিওগুলো তহবিল সংকটে রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের যে সাতটি দেশ তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে আফগানিস্তান তাদের একটি। বাকি দেশগুলো হলো বুরকিনা ফাসো, হাইতি, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান ও ইয়েমেন।
প্রায় ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এরপর দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা দখল করে তালেবান। ক্ষমতায় এসেই তারা নারীদের ওপর দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে। তাদের চলাফেরা, চাকরি, লেখাপড়ায় কঠোর নিয়ম জারি করা হয়েছে।
সূত্র : টোলো নিউজ