প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ মে ২০২৩ ১৯:২৪ পিএম
আপডেট : ১১ মে ২০২৩ ১৯:৩৭ পিএম
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে ইমরান খান। ১১ মে। ছবি : সংগৃহীত
ইমরান খানকে শিগগির মুক্তি দিন। কারণ তার গ্রেপ্তার অবৈধ। তাকে আটকে রেখে জেরা করার কোনো সুযোগ নেই। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্টে তার বিচার চলবে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দেন। তার আগে একই দিন স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ইমরান খানকে এক ঘণ্টার (সাড়ে ৪টা) মধ্যে আদালতে হাজির করতে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি অব ব্যুরোর (এনএবি) প্রতি নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু দুই ঘণ্টারও সামান্য বেশি সময় পর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ইমরানকে সুপ্রিম কোর্টে হাজির করা হয়।
জিওনিউজ ও দ্য ডন জানায়, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আদালতে হাজির করার পরপরই তার গ্রেপ্তার অবৈধ মন্তব্য করে তাকে শিগগির মুক্তি দিতে এনএবির প্রতি নির্দেশ দেন প্রধান বিচারকসহ সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল, বিচারপতি মোহাম্মদ আলি মাজহার ও বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহর একটি যৌথ বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার (৯ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে দেশটির দুর্নীতি দমনবিষয়ক সংস্থা এনএবি। তাদের সহায়তা করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিট রেঞ্জার্স।
বৃহস্পতিবার ইমরানের গ্রেপ্তার বেআইনি দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন ইমরান খানের আইনজীবীরা।
ইমরানের প্রধান আইনজীবী হামিদ খান সুপ্রিম কোর্টকে বলেন, ‘আল-কাদির ট্রাস্টের মামলায় আগাম জামিনের জন্য মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির হন ইমরান খান। মামলার প্রয়োজনে তিনি বিভিন্ন বায়োমেট্রিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করছিলেন। এ অবস্থায় রেঞ্জার্সরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়া রুমে প্রবেশ করে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে। তার সঙ্গে তারা খারাপ আচরণ করে।’
সব শুনে কোর্ট মন্তব্য করেন, কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে এভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা বেআইনি। এটি পাকিস্তানের বিচার বিভাগের গালে একটি চপেটাঘাত। ইমরান খানকে আজ (১১ মে) সাড়ে ৪টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে হাজির করতে হবে।
ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর সারা পাকিস্তানে বিক্ষোভ শুরু হয়। হামলা চালানো হয় সেনাবাহিনীর প্রধান কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাসভবনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়ে।
এ পর্যন্ত কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। নিহত হয়েছে অন্তত আটজন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটআই) শীর্ষ নেতাদের। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন শহরে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।
সূত্র : জিওনিউজ, দ্য ডন।