প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ মে ২০২৩ ১৬:০৮ পিএম
আপডেট : ১১ মে ২০২৩ ১৬:২০ পিএম
ইসরায়েল ও গাজার ইসলামিক জিহাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি রকেট হামলা। ১০ মে রাতে। ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি রকেট ও বিমান হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে শিশুও রয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৭৬ জন।
মঙ্গলবার (৯ মে) ভোর থেকে এসব হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার হামলা তীব্রতর হয়। থেমে থেমে হামলা এখনও অব্যাহত রয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বিবৃতিতে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা ইতোমধ্যে গাজার ১৫৮টি লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে অন্তত ৫২৩টি রকেট।
অন্যদিকে গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) অন্তত ৩৮০টি রকেট ছুড়েছে। এসব রকেটের ৯৬ শতাংশ লক্ষ্যে আঘাত হানার আগেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসের কাছে হামাদ আবাসিক শহরের একটি ভবনে পঞ্চম তলার একটি অ্যাপার্টমেন্টে যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে পিআইজের এক শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
পিআইজের সশস্ত্র শাখা নিশ্চিত করেছে, বৃহস্পতিবার সকালে ইসরায়েলের হামলায় তাদের রকেট ইউনিটের প্রধান আলি হাসান গালি নিহত হয়েছেন। তিনি ফিলিস্তিনে আবু মোহাম্মদ নামেও পরিচিত ছিলেন।
হামাসের পর গাজা উপত্যকায় ইসলামিক জিহাদই দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র সংগঠন। তারা এ হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণের শপথ নিয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, গালিই ছিলেন তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু। ইসরায়েলের বিবৃতিতে তাকে পিআইজের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করা হয় এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক রকেট হামলাগুলো করার জন্য তাকেই দায়ী করা হয়।
সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি।