প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৩৯ পিএম
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৪৭ পিএম
আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে পৌঁছান মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তিন দিনের সফরে আর্মেনিয়ায় পৌঁছেছেন।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে পৌঁছান পেলোসি।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আবারও বড় ধরনের সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। সীমান্ত নিয়ে ২০২০ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর চিরবৈরী দুই দেশের মধ্যে এটিই ছিল সর্বশেষ সংঘাত। ওই সংঘাতে দুই দেশের শতাধিক সেনা নিহত হয়। বুধবার দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরই ইয়েরেভান সফরে আসেন পেলোসি।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতার পর তিনিই আর্মেনিয়ায় সফরকারী সর্বোচ্চ পদমর্যাদার মার্কিন কর্মকর্তা।
মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, এ সফরে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করবেন পেলোসি।
গত শুক্রবার পেলোসি বার্লিনে সাংবাদিকদের বলেন, এ সফর হচ্ছে মানবাধিকার এবং প্রতিটি ব্যক্তির মর্যাদা ও মূল্যকে সম্মান জানানোর বিষয়।
পেলোসির সঙ্গে এ সফরে আরও আছেন হাউস এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটির চেয়ারম্যান ফ্রাঙ্ক প্যালোন এবং প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য জ্যাকি স্পিয়ার ও আনা এশু।
আর্মেনিয়ার স্পিকার অ্যালেন সিমোনিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, পেলোসির তিন দিনের সফর আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা পালন করবে।
বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল দখলে নেওয়ার জন্য ২০২০ সালে যুদ্ধে লিপ্ত হয় আর্মেনিয়া-আজারবাইজান। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে দুদেশের সীমান্তে প্রায়ই সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।
আজারবাইজানে অবস্থিত আর্মেনিয়ার জনবহুল ছিটমহল নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে এ দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র দুটি যুদ্ধে জড়িয়েছে। ১৯৮০ সালের শেষদিকে প্রথম সংঘর্ষ শুরু হয়। যখন উভয় দেশই সোভিয়েত শাসনের অধীনে ছিল। তখন আর্মেনিয়ার সেনারা নাগোর্নো-কারাবাখের নিকটবর্তী অঞ্চলের কিছু অংশ দখলে নিয়ে নেয়।
তবে এ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত, কিন্তু এখানে বাস করে বিপুলসংখ্যক আর্মেনীয় জনগণ। প্রথমবারের ওই যুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার লোক নিহত হন।
২০২০ সালে দ্বিতীয়বারের যুদ্ধে আজারবাইজান সেই অঞ্চলগুলো আবারও নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শেষ হয় ছয় সপ্তাহব্যাপী ওই যুদ্ধ। এতে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারান।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষকে প্রায় দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের সহিংসতা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ইয়েরেভান জানায়, এ সংঘাতে কমপক্ষে ১৩৫ জন আর্মেনিয়ান সেনা নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে বাকু জানিয়েছে তাদের ৭৭ সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর থেকে আজারবাইজানের সঙ্গে সীমান্তের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
প্রবা/এনএস/ এসআর