যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বড় অগ্রগতি নেই, লড়াই চলছে সুদানে

সুদানের সেনাবাহিনী  ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে আলোচনায় এখনও কোনো বড় অগ্রগতি না হওয়ায় সোমবার (৮ মে) সুদানের রাজধানী খার্তুমে সশস্ত্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।

সুদানের সেনাবাহিনীর কমান্ডার আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান সোমবার মিসরের আল কাহেরা নিউজকে একটি ফোন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘রাজধানী খার্তুম ছাড়া সুদানের সব রাজ্যের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। খার্তুমে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর পর আমরা একটি মীমাংসা নিয়ে আলোচনা করতে পারি।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনী খার্তুম উত্তরের শহর বাহরিতে বিদ্রোহী মিলিশিয়াদের একটি দলের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে এবং তাদের চারটি সশস্ত্র যান ধ্বংস করেছে। লড়াইয়ে টিকতে না পেরে শত্রুরা পালিয়ে গেছে।’

খার্তুমে ভোরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। খার্তুমের সিনহুয়া সংবাদদাতা জানিয়েছে, ‘সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো শহরের ওপর দিয়ে উড়ছিল এবং জবাবে আরএসএফ যোদ্ধারা বিমানবিধ্বংসী বন্দুক থেকে গুলি ছুড়ছিল।’

আরএসএফ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যাংক, দোকান লুট করার পাশাপাশি নাগরিকদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটের অভিযোগ করেছে সেনাবাহিনী।

এদিকে সৌদি আরবের একজন বেনামি কূটনীতিক সোমবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জেদ্দায় দুই যুদ্ধরত পক্ষের মধ্যে সংলাপ তৃতীয় দিনে প্রবেশ করায় কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। যে কারণে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়টি আপাতত আলোচনার টেবিলে নেই।’

সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে খার্তুমের যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। 

সেখানকার মানুষের জীবন মৌল মানবিক প্রয়োজনীয়তা এবং চিকিৎসা পরিষেবার মারাত্মক অভাবের মধ্যে রয়েছে।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হাজার হাজার সুদানি নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে বা সুদান বা প্রতিবেশী দেশগুলোতে নিরাপদ এলাকায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

মে মাসের গোড়ার দিকে সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া সর্বশেষ সংখ্যা অনুসারে, সংঘাতে কমপক্ষে ৫৫০ জন নিহত হয়েছে এবং চার হাজার ৯২৬ জন আহত হয়েছে।

সূত্র : সিনহুয়া