প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৩ ১২:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৬ মে ২০২৩ ১৩:২০ পিএম
ওয়াগনার বস ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। ছবি : রয়টার্স
রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনারের প্রধানের বাখমুত থেকে তার সেনা প্রত্যাহারের দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সেখান থেকে ওয়াগনারের সেনা প্রত্যাহারের কোনো লক্ষণ নেই।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘ভাড়াটে সেনারা দৃঢ়ভাবে অবস্থান ধরে রেখেছে এবং তাদের শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী গত শুক্রবার (৫ মে) জানিয়েছে, ৯ মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়কে চিহ্নিত করার আগে ওয়াগনার যোদ্ধারা বাখমুতে অবস্থানকে শক্তিশালী করছে এবং ধ্বংস হওয়া শহরটি দখল করার চেষ্টা করছে।
ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার ইউক্রেনের টেলিভিশনে বলেছেন, ‘আমরা এখন ওয়াগনার যোদ্ধাদের বাখমুতের দিকে টেনে নিয়ে যেতে দেখছি।’
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা প্রতিনিধি আন্দ্রি চেরনিয়াক আরবিকে-ইউক্রেন সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, প্রিগোজিনের প্রত্যাহারের দাবি সত্ত্বেও ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বাখমুত থেকে ওয়াগনার বাহিনীর আসন্ন প্রত্যাহারের কোনো লক্ষণ দেখতে পাইনি।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীও প্রিগোজিনের ওই দাবির বিরোধিতা করেছে যে, বাখমুতে রাশিয়ার বাহিনীর কাছে গোলাবারুদের অভাব ছিল।
একটি ভিডিও বিবৃতিতে ওয়াগনার বস ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেছেন যে, তার সেনারা রাশিয়ার গোলাবারুদ অপেক্ষায় আছেন এবং পরিস্থিতি না বদলালে তিনি তার সেনাদের বাখমুত থেকে প্রত্যাহার করবেন।
গত শুক্রবার ভিডিওচিত্রে প্রিগোজিনকে ওয়াগনার যোদ্ধাদের মৃতদেহ দ্বারা পরিবেষ্টিত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। তিনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে গালিগালাজ করে বলেন, ‘শোইগু এবং গেরাসিমভকে অবশ্যই হাজার হাজার ওয়াগনার সেনা নিহত ও আহত’ হওয়ার দায়ভার বহন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলেরা গোলাবারুদ ছাড়া বাখমুতে অকেজো এবং তারা অযৌক্তিক ক্ষতির শিকার হবে না। ’
প্রিগোজিন রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘মস্কোর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ করার সময় শহরটি দখল করার জন্য ওয়াগনারের টার্গেট তারিখ ছিল ৯ মে। আমলারা সেটা জানা সত্ত্বেও গোলাবারুদ সরবরাহ বন্ধ রেখেছিল।’
প্রসঙ্গত, বাখমুতের যুদ্ধকে ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের অন্য শহরগুলোর জন্য রক্ষাকবজ হিসেবে দেখা হয়।
গত কয়েক মাসের তীব্র রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সেখানে উভয়পক্ষের হাজার হাজার সেনা প্রাণ হারিয়েছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সের্হি চেরেভাতি বলেছেন, ‘শুধু আজই বাখমুত এবং আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের কামান থেকে ৫২০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, তিনি প্রিগোজিনের প্রত্যাহার করার হুমকি সম্পর্কে মন্তব্য করতে অক্ষম এবং এটি একটি সামরিক বিষয়।
সূত্র : আল জাজিরা