প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৩ ১৬:১৪ পিএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৩ ১৬:৪২ পিএম
সবার সামনে ওয়াগনার-প্রধান ইভজেনি প্রিগোজিন। ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার বেসরকারি সামরিক কোম্পানি ওয়াগনার গ্রুপ ইউক্রেন যুদ্ধের সাম্প্রতিক সময়ের মূল রণক্ষেত্র বাখমুত ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। ১০ মে রুশ সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তারা পার্শ্ববর্তী স্থানে গিয়ে বিশ্রাম করবে বলে জানিয়েছেন গ্রুপটির প্রধান ইভজেনি প্রিগোজিন। চাহিদা অনুযায়ী গোলাবারুদ না পাওয়া গ্রুপটি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
শুক্রবার (৫ মে) এক ভিডিওবার্তায় ওয়াগনারের প্রধান অভিযোগ করেন, আমাদের যে পরিমাণ গোলাবারুদ দরকার তা আমরা পাচ্ছিলাম না। এ অবস্থায় প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিতে যাওয়া এই শহর হাতে রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না। অথচ আমাদের চাহিদামতো গোলাবারুদ পাওয়া গেলে ৯ মের মধ্যে শহরটি পূর্ণ দখলে নেওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু ১ মে থেকে আধাসামরিক আমলারা আমাদের সব ধরনের গোলাবারুদ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন।
রুশ গণমাধ্যম আরটি জানায়, ভিডিওবার্তার পাশাপাশি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রেসিডেন্ট ও জনগণের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠিও লিখেছেন ওয়াগনারপ্রধান। সেখানেও প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে চিঠিতে এও বলা হয়েছে, ৯ মে রাশিয়ার বিজয় দিবস। দিনটি আমরা বাখমুতে উদযাপন করতে চাই। কিন্তু যেভাবে করতে চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হচ্ছে না। তাতে কি, রুশ জনগণকে আমরা কথা দিচ্ছি, আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমরা বাখমুতের অদূরেই থাকব। মাতৃভূমি বিপদে পড়লে আমরা ফের ঝাঁপিয়ে পড়ব।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বাখমুত থেকে ওয়াগনারের সেনা প্রত্যাহার সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ’বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা নই, রুশ সেনাবাহিনীই মন্তব্য করবে।’
বাখমুত দনবাস অঞ্চলের রেল ও সড়ক যোগাযোগের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর। কয়েক মাস ধরে সেখানে তীব্র যুদ্ধ চলছে। নিয়মিত রুশ সেনাবাহিনী থাকলেও শহরটিতে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব ছিল ওয়াগনার গ্রুপের ওপর। ফলে সেনাবাহিনী ও ওয়াগনার গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। গত এক মাসে তা তীব্র আকার ধারণ করে।
উল্লেখ্য, ওয়াগনার-প্রধান ইভজেনি প্রিগোজিন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। পুতিনের নির্দেশেই ওয়াগনার গ্রুপটি গঠন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
সূত্র : আরটি