প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৩ ১২:০৩ পিএম
আপডেট : ০৪ মে ২০২৩ ১২:১৩ পিএম
সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে সুদানে কমপক্ষে ৫৫০ জন নিহত ও ৪ হাজার ৯২৬ জন আহত হয়েছেন। ছবি : সংগৃহীত
‘সুদানে ছড়িয়ে পড়া যুদ্ধ বন্ধে আমরা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছি’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস।
তিনি বুধবার (৩ মে) বলেছেন, সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান লড়াই একটি যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করেছে।
আন্তোনিও গুতেরেস নাইরোবিতে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘জাতিসংঘ বিস্ময়ে বিস্মিত। কারণ বিশ্ব সংস্থা এবং অন্যরা আশাবাদী ছিল যে, একটি বেসামরিক সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা সফল হবে।’
মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এবং আরও অনেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে বলে আশা করিনি।‘
১৫ এপ্রিল সুদানের ডি ফ্যাক্টো নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার ডেপুটি প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে মারাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে সুদানে কমপক্ষে ৫৫০ জন নিহত এবং ৪ হাজার ৯২৬ জন আহত হয়েছেন।
২০১৯ সালে শক্তিশালী শাসক ওমর আল-বশিরের পতনের পর থেকে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা বেসামরিক এবং সামরিক বাহিনীকে আলোচনার টেবিলে আনার চেষ্টা করছেন।
কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন তারা বুরহান ও দাগলোকে খুব বেশি কৃতিত্ব দিচ্ছেন।
যারা ২০২১ সালের একটি অভ্যুত্থানে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন, যা বশির-পরবর্তী গণতান্ত্রিক উত্তরণকে লাইনচ্যুত করেছিল।
এর পরই দুই জেনারেল ক্ষমতার লড়াইয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।
সুদান বিশেষজ্ঞ আর্নস্ট জান হোগেনডোর্ন আটলান্টিক কাউন্সিলের জন্য লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক নেতাদের অবশ্যই কৌশলগতভাবে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। সুদানি নেতাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ ও তাদের বাহিনীর ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করা উচিত।’
সূত্র : টিআরটি