প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৩৫ পিএম
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৫৭ পিএম
সুদানের খার্তুমের উত্তরের কেন্দ্রীয় বাজারে একটি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি এবং ভবনের কাছে হাঁটছেন এক ব্যক্তি। ছবি : আলজাজিরা
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) তাদের যুদ্ধবিরতি বাড়াতে সম্মত হলেও রাজধানী খার্তুম ও পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে লড়াই অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় মধ্যরাতে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা এবং প্রচেষ্টার পরে তারা ‘অতিরিক্ত ৭২ ঘণ্টার জন্য’ যুদ্ধবিরতি বাড়াতে সম্মত হয়েছেন।
আরএসএফও বলেছে তারা বর্ধিত যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করেছে।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাবটি দুটি কূটনৈতিক গ্রুপ থেকে দেওয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপি বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সুদানের যুদ্ধবিমানগুলো রাজধানীর উত্তর শহরতলির ওপর টহল দেওয়ার সময় আরএসএফ যোদ্ধারা সেগুলো ধ্বংস করতে আর্টিলারি ও ভারী মেশিনগান থেকে গুলি ছুড়েছেন।
গত তিন দিনের যুদ্ধবিরতির কারণে যুদ্ধ বন্ধ না হলেও কিছুটা কমে আসায় কয়েক হাজার সুদানি নিরাপদ এলাকায় পালিয়ে যেতে পেরেছেন এবং বিদেশি দেশগুলো তাদের শত শত নাগরিককে স্থল ও সমুদ্র পথে সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
সেনাবাহিনী দাবি করেছে, সুদানের বেশিরভাগ অঞ্চল এখনও তাদের নিয়ন্ত্রণে এবং খার্তুমে আরএসএফের একটি বড় দলকে তারা পরাজিত করছে।
যে কারণে সেখানে কিছু আবাসিক এলাকা যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রয়টার্সের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, প্রথম ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে যুদ্ধে আংশিক শিথিলতা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার রাজধানী ও নিকটবর্তী শহর ওমদুরমান এবং বাহরিতে বিমান হামলা ও বিমানবিধ্বংসী গুলির শব্দ শোনা গেছে।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউস বলেছে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কারণে তারা উদ্বিগ্ন এবং যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুদ্ধবিরতি ছিল ‘অকার্যকর’, ‘তবু সহিংসতা হ্রাস পেয়েছে।’
এ সপ্তাহের শুরুতে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবিও আলজাজিরাকে বলেছিলেন, ‘ওয়াশিংটনের জন্য তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার ছিল সহিংসতা হ্রাস করা। আমরা যা চাই তা হলো সহিংসতা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হোক, যাতে আর কোনো মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে এবং যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো যায়।’
সূত্র : আলজাজিরা