প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৩ ১০:৩৬ এএম
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৩ ১১:১০ এএম
খার্তুমের একটি ভবন থেকে ধোঁয়া উঠছে। ২২ এপ্রিল। ছবি : সংগৃহীত
সুদানের রাজধানী খার্তুমের দূতাবাস থেকে নিজেদের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সুদান ত্যাগে তাদের সহায়তা করেছে সংঘাতে জড়িত র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। রবিবার (২৩ এপ্রিল) ভোরে প্রত্যাহারের এ ঘটনা ঘটেছে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমার আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী খার্তুম থেকে আমাদের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এ কাজ করায় আমি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই। পুরো প্রক্রিয়ায় সহায়তা করায় জিবুতি, ইথিওপিয়া ও সৌদি আরবকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জো বাইডেন।
এদিকে এক বিবৃতিতে আরএসএফ জানায়, ছয়টি উড়োজাহাজে করে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে আরএসএফ।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়সংশ্লিষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তা জানান, ছয়টি উড়োজাহাজে করে প্রায় ৭০ জন সরকারি কর্মকর্তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের ইথিওপিয়ার একটি স্থানে রাখা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সুদানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৬ হাজার নাগরিক রয়েছে। সরকারি উদ্যোগে তাদের সরিয়ে নেওয়ার আপাতত কোনো উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
তবে শনিবার (২২ এপ্রিল) রাতে এক টুইটে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে সৌদি আরবের সহায়তায় বিভিন্ন দেশের ১৫০-এর বেশি নাগরিককে সুদান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার এক বিবৃতিতে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ পর্যন্ত ৯১ জন বিদেশি নাগরিককে সুদান থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব নাগরিকের মধ্যে কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, তিউনিসিয়া, পাকিস্তান, ভারত, বুলগেরিয়া, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, কানাডা ও বুরকিনা ফাসোর নাগরিক রয়েছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ। এক সপ্তাহের সংঘাতে রাজধানী খার্তুম ও দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় চারশ মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় চার হাজার।
সংঘাত বন্ধ করেতে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আফ্রিকান ইউনিয়ন, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ বারবার আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে তিন দফা অস্ত্রবিরতি হলেও গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র : আল-জাজিরা