প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:০৫ পিএম
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের গুজরাটের সুরাটের একটি আদালতে ফের বড় ধাক্কা খেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
'মোদি পদবী' মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তিনি। সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেছে সুরাটের দায়রা আদালতে।
২০১৯ সালে কর্ণাটকের এক জনসভায় মোদিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাহুল। এর জেরে সাংসদপদ হারিয়েছেন তিনি।
এই আবহের মধ্যে আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুরাটের দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেখানে তার আবেদন ছিল, তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যে রায় দেওয়া হয়েছে, তা খারিজ করা হোক।
কিন্তু, সুরাটের দায়রা আদালতের বিচারক আরপি মোগেরা রাহুলকে বেকসুর খালাস দেন না। আর এই কারণেই রাহুলের সাংসদপদ ফিরে পাওয়ার আশা প্রায় শেষ হয়ে গেল।
প্রসঙ্গত, এর আগে রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল। যদিও উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য ৩০ দিন সময় দেওয়া হয় রাহুলকে।
এই পরিস্থিতিতে দায়রা আদালতে সাজা মকুবের এবং তাকে বেকসুর খালাস দেওয়ার আবেদন জানান কংগ্রেস নেতা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, রাহুল গান্ধীর পক্ষে কি আর তার সাংসদপদ ফিরে পাওয়া সম্ভব? এই জটিলতা থেকে নিজেকে বের করে আনতে কী করতে পারেন কংগ্রেসের এই সাবেক সভাপতি? আগামী নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন তো তিনি?
লোকসভা সচিবালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, রাহুল গান্ধী যদি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন এবং নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে তার সাংসদপদ ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে তা হয়নি। তাই রাহুলের সাংসদপদ ফিরে পাওয়া প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে কর্ণাটকের কোলারে এক রাজনৈতিক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধী মোদি পদবী ঘিরে একটি মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুরাট কোর্টে পূর্ণেশ মোদী মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সদ্য রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
সুরাট কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়া রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের কারাবাস ও ১৫ হাজার টাকার জরিমানা করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে রাহুলের সাংসদপদ খারিজ হয়।
এরপর গত ৩ এপ্রিল সুরাটের দায়রা আদালতে মামলা করেন রাহুল। ১৩ এপ্রিল সেই মামলার শুনানি হয় এবং বিচারক রায়দান স্থগিত রাখেন। আজ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সেই মামলার রায় দিয়ে রাহুলের আবেদন খারিজ করলেন বিচারক।
সূত্র : আলজাজিরা