প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৩২ পিএম
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ২২:০০ পিএম
সুদানের রাজধানী খার্তুমের একটি আবাসিক এলাকা থেকে ধোঁয়া উঠছে। ওই অঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে সেনাবাহিনী। ১৬ এপ্রিল তোলা। ছবি: সংগৃহীত
সুদানে সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাত তিন দিন পার হয়ে গেছে। সেনাবাহিনীর ব্যাপক বিমান হামলার মুখে বিভিন্ন জায়গা থেকে হাত গুটাচ্ছে আরএএসএফ। কিন্তু কিছু জায়গায় এখনও তাদের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। এ অবস্থায় রাজনীতির নতুন রূপরেখা হাজির করা না গেলে চলমান সংকট সমাধান করা যাবে না বলে মনে করেন দেশটির রাজনীতিবিদরা।
সুদানের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাটিক ব্লক অব ফ্রিডম অ্যান্ড চ্যাঞ্জের নেতা মহিউদ্দিন ইব্রাহিম আল-জাজিরাকে বলেন, দুই সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যকার সমঝোতা দিয়ে উদ্ভূত সংকট সমাধান করা যাবে না। এ সংকট সমাধানে জাতীয় সম্মতি দরকার। এ জন্য প্রয়োজন রাজনীতির নতুন রূপরেখা, যেখানে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের অংশ গ্রহণ থাকবে।
মহিউদ্দিন ইব্রাহিমের মতে, ২০১৯ সালে সামরিক শাসক ওমর আল-বাশারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যেসব রাজনৈতিক দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল, আজ তাদের সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হচ্ছে। রাজনীতিবিদদের উপেক্ষা করে চলতি সংকটের কোনো স্থানীয় সমাধান সম্ভব নয়।
এদিকে সোমবার (১৭ এপ্রিল) পর্যন্ত সংঘাতে অন্তত ৯৭ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছে প্রায় আরও ৩৬৫ জন।
এ পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের নেতাদের সহিংসতা বন্ধের জন্য জোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
সুদান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, চলমান সহিংসতা বন্ধে সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষকেই মূল ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি তাদের ওপর যেসব পক্ষের প্রভাব রয়েছে তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। সংঘাত এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা আরও বাড়লে সুদান ও আফ্রিকার ওই অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে ওঠতে পারে, যার পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়ংকর।
এদিকে সুদানের সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান আরএসএফকে বিদ্রোহী গ্রুপ ঘোষণা করে সোমবার এক বিৃবতি দিয়েছেন। এবং প্যারামিলিটারি গ্রুপটি বিলুপ্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
অন্যদিকে সংকট সমাধানে বিদেশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে আরএসএফ। সুদানের রাজনীতিবিদদের একটা বড় অংশ, প্রতিবেশী কিছু দেশ এবং আফ্রিকা ইউনিয়ন আরএসএফের এই আহ্বানের বিরোধিতা করছে।
সূত্র : আল-জাজিরা