প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৩৬ পিএম
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৫৪ পিএম
খার্তুমে সামরিক বাহিনীর একটি গাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটছে মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
সুদানের সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) ক্ষমতার লড়াইয়ে ৫৬ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন প্রায় ৬০০জন।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে সেনাবাহিনীর কয়েকটি ইউনিটের সঙ্গে আরএসএফের সংঘর্ষ শুরু হয়। রবিবার ভোরে ফের দুই বাহিনীর শুরু হওয়া সংঘর্ষে রাজধানীর কয়েক জায়গায় বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
সুদান চিকিৎসকদের একটি সংগঠন জানিয়েছে, দুই বাহিনীর সংঘর্ষে ৫৬ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এতে প্রায় ৬০০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া কিছু সামরিক বাহিনীর সদস্যও সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে সৃষ্ট বাধার কারণে আহত অনেককে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রাজধানী খার্তুমের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাজুড়ে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে।
রবিবার সকালে বারুদের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে রাস্তায়। কেবলসামরিক বাহিনীর সদস্যরা ছাড়া বেসামরিক লোকেরা তাদের বাড়ির ভিতরে আশ্রয় নেন।
এদিকে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ দাবি করেছে, তারা প্রেসিডেন্ট ভবন, খার্তুমের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
যদিও সেনাবাহিনী এ দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করে শনিবার রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারাই দেশের সব ঘাঁটি ও বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে।
এদিকে দুই বাহিনীই একে অপরকে সহিংসতা শুরুর জন্য দায়ী করছে।
প্যারামিলিটারি বাহিনী আরএসএফকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা নিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে এ দ্বন্দ্ব শুরু। আরএসএফ প্রধান কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলো ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের মধ্যে গত কয়েক সপ্তাহের গভীর উত্তেজনার পর সহিংসতা শুরু হয়।
জেনারেল বুরহানে ২০২১ সালে সুদানের বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট তীব্র হয়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, তিনি তার ডেপুটি এবং আরএসএফপ্রধান কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর সঙ্গে আলোচনা করে এই রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সংকট অবসান করতে আগ্রহী।
সূত্র: এএফপি