প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:২৯ পিএম
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৪২ পিএম
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত গ্রুপটি ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়ছে। ছবি : সংগৃহীত
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের ফাঁস হওয়া গোপন নথি নিয়ে বেশ তোলপাড় চলছে বিশ্বাঙ্গনে। সে নথি থেকে জানা গেছে, ইউক্রেন যুদ্ধে লড়াই করতে তুরস্কের কাছ থেকে অস্ত্র চাইছে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদের গ্রুপ ওয়াগনার।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত গ্রুপটি ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়ছে। ফাঁস হওয়া নথিতে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেদের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াগনার গ্রুপ। যে কারণে তুরস্ক থেকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার চেষ্টা করছে গ্রুপটি।
নথিতে উদ্ধৃত গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুসারে, ওয়াগনার গ্রুপের কর্মীরা অস্ত্র ও সরঞ্জাম কিনতে ফেব্রুয়ারির শুরুতে তুরস্কের সঙ্গে যোগাযোগের অভিপ্রায় প্রকাশ করে।
তবে এই যোগাযোগ কারা করেছিল বা তুর্কি সরকার এ বিষয়ে অবগত ছিলেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তা ছাড়া নথিতে এমন কোনো প্রমাণ নেই যাতে বোঝা যায়, তুরস্ক ওয়াগনার গ্রুপের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তুরস্ক ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশ। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদেশগুলো কিয়েভকে সমর্থন দিয়ে গেছে। এমনকি দেশগুলো ইউক্রেনকে সরাসরি সামরিক সহায়তাও দিয়েছে। আর অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর মতো রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রকাশ্যে বিরোধিতাও করেছে তুরস্ক।
এ ছাড়া তুরস্কে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। সে ঘাঁটিতে পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণ করা রয়েছে। যা ন্যাটো সদস্যদের বিরুদ্ধে রুশ আগ্রাসন প্রতিরোধ করার জন্য একটি সুস্পষ্ট সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করছে।
যে কারণে এই ন্যাটো মিত্রের রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রির সম্ভাবনা ওয়াশিংটনে গুরুতর উদ্বেগ বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া এ ধরনের পদক্ষেপ অন্যান্য ন্যাটো সদস্যের সঙ্গেও আঙ্কারার সম্পর্ককে জটিল করে তুলবে।
ফাঁস হওয়া নথিতে আরও বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধে যোগ দিতে ওয়াগনার গ্রুপ নতুন করে সেনা সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। এর জন্য রাশিয়ার কারাগার থেকে বন্দিদের নিয়োগ পুনরায় শুরু করারও পরিকল্পনা করছে গ্রুপটি।
সূত্র : সিএনএন