প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৩১ এএম
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৩০ এএম
সামরিক প্যারেডে প্রদর্শিত উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি : কেসিএনএ
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের
বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আদেশ জারি করেছিল জাপানি কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের বলেছিল, এই সংক্ষিপ্ত স্থানান্তরের কারণ উত্তর কোরিয়ার
ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তরের দ্বীপ
হোক্কাইডোর আশপাশে এসে পড়ার শঙ্কার কথাও জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে উৎক্ষেপণ শনাক্ত হয়েছিল। সঙ্গে
সঙ্গেই হোক্কাইডোর বাসিন্দাদের অবিলম্বে ভবনগুলোর ভেতরে বা ভূগর্ভে আশ্রয় নেওয়ার
জন্য সতর্কতা জারি করা হয়। কারণ কর্তৃপক্ষ ভেবেছিল ক্ষেপণাস্ত্রটি এ এলাকাতেই এসে পড়বে।
যদিও দ্রুতই বিমান হামলার সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়, কারণ পরবর্তী বিশ্লেষণে
দেখা যায় হোক্কাইডোর কাছাকাছি কোথাও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার শঙ্কা নেই।
সকাল ৮টা ২০ মিনিটে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি
নেমে এসেছে এবং এটি আর কোনো হুমকি নয়। জাপানের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে ছোড়া হয়েছিল এবং এটি দেশটির আঞ্চলিক জলসীমার
বাইরে জাপান সাগরে এসে পড়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক সূত্রের বরাতে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, প্রজেক্টাইলের
ধরন এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এর উড়ানের সময় ও দূরত্ব অতিক্রম দেখে বোঝা যায় এটি মধ্যবর্তী
বা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়ার এটি নবম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। দুই সপ্তাহের
মধ্যে এটিই প্রথম। আর এ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এমন সময় পরীক্ষা চালানো হচ্ছে, যখন কিম জং-উন শাসিত দেশটির সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার তীব্র উত্তেজনা চলছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিয়া আউটলেটগুলো জানিয়েছে, ছয় দিন ধরে উত্তর কোরীয় কর্মকর্তারা আন্ত-কোরীয় সামরিক হটলাইনে যোগাযোগ করছেন না। মূলত এ হটলাইন দুই দেশ ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে ব্যবহার করে।
সূত্র : রাশিয়া টুডে